ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএর ইন্টারএকটিভ সেশনে নওয়াজীশ আলী খান

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ৭ এপ্রিল ২০১৯

বিপিএর ইন্টারএকটিভ সেশনে নওয়াজীশ আলী খান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ ব্রডকাস্ট প্রোডিউসারস এ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় ইন্টারএকটিভ সেশন আগামী আগামী ২০ এপ্রিল শনিবার ধানমি র ২৭ নম্বর রোডের ইএমকে সেন্টারে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে। এবারে এ আয়োজনে অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব নওয়াজীশ আলী খান। এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ইএমকে সেন্টার। এ প্রসঙ্গে ব্রডকাস্ট প্রডিউসারস এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দার জানান, বাংলাদেশের টিভি ইন্ডাস্ট্রির এক মহান সৃষ্টিশীল মানুষ নওয়াজীশ আলী খান। তার সাহচর্য, তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে অগণিত টেলিভিশন অনুষ্ঠান-নাটক-সঙ্গীত আয়োজনসহ আরও নানা কিছু। এই মহান সৃষ্টিশীল মানুষের সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি আমাদের অনেক টেলিভিশন-রেডিও-অনলাইনের কন্টেন্ট নির্মাতার। তাই ব্রডকাস্ট প্রডিউসারস এ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) তার সঙ্গে এক ভাব-আদান প্রদান আড্ডার মানে ‘ইন্টারএকটিভ সেশন’-এর আয়োজন করেছে। বিপিএর সদস্য ছাড়াও টেলিভিশন- রেডিও এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সকল কন্টেন্ট নির্মাতারা যোগ দিতে পারেন। এ সুবর্ণ সুযোগ নির্মাতারা অবশ্যই হাতছাড়া করবেন না। নওয়াজীশ আলী খান ১৯৬৭ সালের ২৯ নবেম্বর করাচী টেলিভিশনে কাজ শুরু করেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও সে সময়ে দেশে ফেরার সুযোগ পাননি তিনি। ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আফগানিস্তান ও ভারত হয়ে স্বাধীন মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক পদে যোগদান করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার কাজ শুরু হয় গানের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এরপর ‘রত্নদ্বীপ’ নামে একটি আলেখ্যানুষ্ঠান তৈরি করেন তিনি। দীর্ঘ ২৮ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশনে সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০০ সালে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বিটিভি থেকে অবসরের পর সে বছরই অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে যোগদান করেন একুশে টেলিভিশনে। সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন ৩১ ডিসেম্বর ২০০২ পর্যন্ত। এর পরই যোগ দেন এটিএন বাংলায়। গত ১৫ বছর যাবত এ প্রতিষ্ঠানেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বর্তমানে আছেন উপদেষ্টা (অনুষ্ঠান) হিসেবে। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি নিয়মিতভাবে নাটকেও কাজ করেছেন। তার নাট্যরূপ দেয়া নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- য়ৈদ মুজতবা আলীর বিখ্যাত প-িত মশাইয়ের তিন পায়ের কুকুরের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে লেখা ‘পাদটীকা’ ও ‘টুনি মেম’, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’, অধ্যাপক সৈয়দ আকরাম হোসেনের ‘ঘুণপোকা’। নাটক প্রযোজনায় আসার পর হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। বিটিভিতে প্রচার হওয়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম নাটক ‘প্রথম প্রহর’-এর প্রযোজক নওয়াজীশ আলী খান। বিটিভিতে হুমায়ূন আহমেদের ‘বহুব্রীহি’ ও ‘অয়োময়’ তার প্রযোজনা। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ (সেরা প্রযোজক), প্রেক্ষাপট এ্যাওয়ার্ড (১৯৮৮), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সোসাইটি এ্যাওয়ার্ড (১৯৯৫), শের-ই-বাংলা লিটারারি এ্যাওয়ার্ড (১৯৯২), ঢাকা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন এ্যাওয়ার্ড (১৯৯৫), কালধ্বনি ইন্ডিপেনডেন্টন্স গোল্ড মেডেল (১৯৯৫), নিপা গোল্ড মেডেল- (২০০০), ন্যাশনাল পার্সোনালিটি এ্যাওয়ার্ড (১৯৯৫), টেনাসিনাস এ্যাওয়ার্ড (১৯৯৬), টিডিএফ লাইফটাইম এ্যাচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড (২০০৪), এ-ওয়ান টেলিমিডিয়া এ্যান্ড সিল্ক লাইন ইন্ডিপেনডেন্টস এ্যাওয়ার্ড (২০০৫), একটেল নাট্যসভা এ্যাওয়ার্ড, বিপ্লবী দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ স্মৃতি এ্যাওয়ার্ড (২০০৫), মাহাত্মা আশ্বিনী কুমার দত্ত স্মৃতি এ্যাওয়ার্ড।
×