ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফের উত্তপ্ত রাখাইন, হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

  ফের উত্তপ্ত রাখাইন, হাজার হাজার  মানুষ বাস্তুচ্যুত

রাখাইনের গ্রামগুলো ক্রমশ আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাতের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে। চলমান সংঘর্ষে নতুন করে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষের জন্য কোন অস্থায়ী শিবিরেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। ত্রাণ সরবরাহের কাজে সুযোগ দেয়া হচ্ছে খুব সীমিত সংখ্যক আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাকে। তার ওপর চলছে ধরপাকড়। একজন ভিক্ষু ও স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, সোমবার রাখাইনের রথেডং টাউনশিপ থেকে দুইজন শিক্ষকসহ চারজনকে আটক করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ইরাবতী নিউজ। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে প্রায় এক দশক আগে শুরু হয় আরাকান আর্মির সাংগঠনিক উদ্যোগ। নিজেদের ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সামনে আনতে চায় রাখাইন নৃগোষ্ঠীর (আরাকানি) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই সংগঠন। কারও ধারণা এই মুহূর্তে তাদের সদস্য সংখ্যা তিন হাজার। কেউ আবার মনে করেন, ৭ হাজার সেনা রয়েছে তাদের। ৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের ফাঁড়িতে হামলা চালায় আরাকান আর্মির সদস্যরা। হামলায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত ও অপর ৯ জন আহত হয়। এরপর প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সশস্ত্র ওই গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দেয়। জোরালো হয় সেনা-আরাকান আর্মি সংঘাত। রাখাইনের রথেডং টাউনশিপের ওন চং গ্রামে অবস্থিত প্যাগোডার প্রধান জানিয়েছেন, সোমবার তাদের গ্রামের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষ হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে পুরো গ্রামে তল্লাশি চালিয়েছে। ওন চংয়ের কো মং তে নামের একজন বাসিন্দা বলেছেন, তিনি কোনমতে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করেছেন। সংঘর্ষের কারণে প্রায় ৪০ জন বাসিন্দা পাশের একটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ধারণা উত্তর রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় চলমান সংঘর্ষের কারণে প্রায় ছয় হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
×