রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যা মামলার রায় কার্যকর দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদকে গ্রেফতার করায় দীর্ঘ তিন বছর পর হলেও মামলা নিয়ে আশার আলো দেখছেন নিহতের পরিবার। খালিদকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিহত ড. রেজাউল করিমের মেয়ে রেজোয়ানা শতভী বলেন, শুনেছি বাবার হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এখন আমরা চাই আদালতের রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। গত শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল-মহিপুর রোড থেকে জেএমবির শীর্ষ নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ ওরফে রাহাত ওরফে নাহিদ ওরফে আবু সুলাইমানকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। সে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলা মামলারও চার্জশীটভুক্ত আসামি। ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ির পাশে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ পরে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় এই হত্যা মামলা করেন। আলোচিত এ হত্যাকা-ের তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ নবেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে আসামি হিসেবে জেএমবির আট জঙ্গীর নাম উল্লেখ করা হয়। আটজনের মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান অভিযোগপত্র দেয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। ঘটনার দুই বছর পর গত বছরের ৮ মে হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গী দল জেএমবির দুই সদস্যের মৃত্যুদ- এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয় আদালত।