ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

দেয়াল ভেঙ্গে সড়ক উদ্বোধন করলেন পৌর মেয়র

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

দেয়াল ভেঙ্গে সড়ক উদ্বোধন করলেন পৌর মেয়র

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৪ জানুয়ারি ॥ ভোলার পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নিজের বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে ভোলার খাল সংরক্ষণ এবং খালপাড়ে বাইপাস সড়ক (ওয়াকওয়ে) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সোমবার দুপুরে শহরের উকিলপাড়া টাউন স্কুলের সামনে থেকে এই বাইপাস সড়ক নির্মাণ শুরু করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৩১.৪৮ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত ভোলা পৌরসভা। আর প্রচীন এই শহরের প্রাণ ছিল ভোলার খাল। এই খাল দিয়েই এক সময় চলাচল করত ঢাকা,বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার লঞ্চ। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যসামগ্রী আনা নেয়া করত এই খাল দিয়ে। এই খালের দুই মাথা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর সঙ্গে মিশে যাওয়া এলাকার কৃষকের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম ছিল। কিন্তু এই খালটি বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না করায় ও ময়লা আর্বজনা ফেলায় মৃত খালে পরিণত হয়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। অবশেষে ভোলা পৌর মেয়র মনিরুজ্জামানের উদ্যোগে খাল খনন কাজ শুরু হয় এবং খালের দুই পাড়ে দৃষ্টি নন্দন ওয়াকওয়ে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। পৌর মেয়র নিজেই তার বাড়ির স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ভোলা পৌরসভার পর পর ২ বার নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের সহায়তায় ভোলার খাল সংরক্ষণে ও বাইপাস সড়ক নির্মাণে ৪১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হয়েছে। যুগিরঘোল হাসপাতালের পোল থেকে বাংলাস্কুল পোল পর্যন্ত খালের উভয় পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এজন্য খালের দুই পাড়ে অবস্থিত যাদের স্থাপনা খালের মধ্যে পড়ছে তা সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ভোলা খালের পাড়ে হাতিরঝিলের মতো ওয়াকওয়ে, ওয়াশ রুম, শিশুদের খেলার রাইডসহ দৃষ্টিনন্দন করা হবে। তিনি এই খালকে রক্ষার জন্য পৌরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভোলা পৌর এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়। বালিয়াকান্দি এলাকায় ১.৪ কিলেমিটার, চরজঙ্গলা এলাকায় ২.৪ কিলোমিটার ও আলীনগর সংলগ্ন এলাকায় ৩.২ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। বর্তমানে চরজংলা ও বালিয়াকান্দি খাল পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ হচ্ছে। এছাড়াও ভোলা হাসপাতালের পেছন থেকে শুরু করে ভোলা খাল হয়ে ৪.৭৩ কিলোমিটার পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। মোট ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘের খাল খননে মোট ব্যয় হচ্ছে ৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
×