ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ ॥ শি জিনপিং

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অনিবার্য

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অনিবার্য

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার বলেছেন, মূল ভূমির সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অনিবার্য। দ্বীপের স্বাধীনতার দাবিতে যেকোন তৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে শি বলেছেন, চীন প্রয়োজনে সামরিক শক্তির ব্যবহার পরিত্যাগ করবে না। এএফপি। ১৯৪৯ সালে মূল ভূখ-ের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে যদিও চীন ও তাইওয়ান আলাদাভাবে শাসিত হচ্ছে। চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজের একটি ভূখ- হিসেবে দেখিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানে পাঠানো বার্তার ৪০তম বার্ষিকী স্মরণে দেয়া এক বক্তব্যে শি বলেন, নতুন যুগের চীনা জনগণের মহান পুনরুত্থানের জন্য চীন অবশ্যই একত্রিত হবে এবং ঐক্যবদ্ধ হবে। শি বলেন, আমরা শক্তি ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দেই না। তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ও মূল ভূমির সঙ্গে তাইওয়ানের পুনর্মিলনে বাধা দেয় এমন সব শক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় উপায়গুলো গ্রহণের বিকল্পটি সংরক্ষণ করি। শি তার বক্তব্যে পুনরেকত্রীকরণকে এক দেশ দুই ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যে পদ্ধতির অধীনে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি তাইওয়ানের স্বার্থ নিশ্চিতভাবে রক্ষিত হয়েছে বলে জানান তিনি। তাইওয়ান নিজেকে স্বার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে। তার নিজস্ব মুদ্রা, রাজনীতি ও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও কখনই মূল ভূমি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি। দুই বছর আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সম্পর্কে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাই তার দ্বীপ সম্পর্কে বেজিংয়ের এক চীন অবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছেন। মঙ্গলবার সাই বেজিংকে সতর্ক করেছেন যে, তাইওয়ানের জনগণ কখনই মূল ভূমির অদৃশ্য কতৃত্ববাদী নীতির কাছে মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে কোন ছাড় দেবে না। বেজিংকে অবশ্যই দুই কোটি ৩০লাখ লোকের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে ও সমতাভিত্তিক উপায়ে আমাদের পার্থক্য দূর করতে হবে। গত অক্টোবর তাইওয়ানের হাজার হাজার লোক স্বাধীনতার দাবিতে রাস্তায় প্রথম দীর্ঘমেয়াদে বিক্ষোভ করেন। এতে ২০ বছরের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় স্বাধীনতার দাবিতে প্রথম গণভোটের আহবান জানায়।
×