ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফল প্রত্যাখ্যান ও পুননির্বাচন দাবি ড. কামালের

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

 ফল প্রত্যাখ্যান ও পুননির্বাচন  দাবি ড. কামালের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে ফল প্রত্যাখ্যান ও দ্রুত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল। অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে তা না মানলে পরবর্তীতে আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে। রবিবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের বাসায় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা প্রমাণিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, সারাদেশের সব জায়গায় প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করুন। তা না হলে আন্দোলন করে এ দাবি আদায় করে নেয়া হবে। আন্দোলন কর্মসূচী কবে দেয়া হবে জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন ইসি আমাদের দাবি না মানলে সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক করে কর্মসূচী ঠিক করা হবে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচী জানানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আন্দোলনেই আছি। আর এ নির্বাচনও আন্দোলনেরই অংশ। তিনি বলেন, ভোটের নামে ডাকাতি ও প্রহসন হয়েছে। দেশের প্রায় সব আসন থেকে একইরকমভাবে ভোট ডাকাতি খবর এসেছে। তাই আমরা অবিলম্বে এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল চাই। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করছি। এটাকে কোন নির্বাচন বলা যায় না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় অনেকে বলেছিল ওই নির্বাচনে অংশ না নেয়া আমাদের ভুল ছিল, কিন্তু আমরা এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের ওই সময়ের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। তিনি বলেন, আমরা আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিবর্বাচন হতে পারেন না। ফখরুল বলেন, আমরা আগেই বলেছি প্রহসনের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, আমাদের আশঙ্কাই সঠিক হয়েছে। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির কারণে আমাদের শতাধিক প্রার্থী আগেই নির্বাচন বর্জন করেছে। তিনি বলেন, এ দেশে কখনই দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্বব নয় এটি প্রমাণিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় ফিরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ নির্বাচন নিষ্ঠুর প্রহসনের নির্বাচন। এ নির্বাচন জাতির জন্য দীর্ঘদিনের ক্ষতি বয়ে আসবে। আজ সোমবার দুপুরে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে তিনি জানান। রবিবার বেলা পৌনে ২টায় মতিঝিলের গণফোরাম কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কয়েক দফা সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন শনিবার রাতেই ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে আর দিনে নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে। এ নির্বাচন সাজানো। ড. কামাল বলেন, ৪৭ বছরের ইতিহাসে দেশের মানুষ যেখানে স্বাধীনভাবে মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়, কথা বলতে চায়, তখন মুক্তিযুদ্ধের ধ্বজাধারি দল আওয়ামী লীগ মানুষের সে অধিকার হরণ করে চলছে। সারাদেশের যে ভোট পরিস্থিতি জেনেছি, কোথাও মানুষ নিরাপদ নয়। পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। প্রার্থীদের জখম করা হয়েছে। গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছে। আমি এসব ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। জাতিকে মুক্তি দেয়ার জন্য এখনই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মিথ্যার রাজনীতির ওপর একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র কখনও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের দুই প্রার্থী মোস্তফা মহসিন মন্টু ও এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সকালেই কেন্দ্র দখল হয়ে যাওয়ায় আমরা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে এসেছি। সুব্রত চৌধুরী বলেন, ইভিএমের কেন্দ্রে ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার পর ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তাদের বের করে দেয়া হয়েছে। মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, সকাল নয়টায়ই ঢাকা-৭ আসনের কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। এজন্য ভোটের মাঠ ছেড়ে এসেছি। সারাদেশে গণহারে ভোট ডাকাতি হওয়ায় ভোটগ্রহণ শেষে সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জেলায় জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ভোটের পরও আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ২৯৯ আসনের প্রার্থীরা জনবল নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করবে। জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করার পর ২৯৯ আসনের প্রার্থীরা ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করবেন। এছাড়া মামলা করার বিষয়টি নিয়েও আমরা ভাবছি। ২৯৯ আসনে প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা করবে। নির্বাচনের ফলাফল বন্ধ বা পুনর্নির্বাচনের বিষয়ে রিট করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। রিট করার আইনী বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। আদালত খুললে পদক্ষেপ নেয়ার একটা পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। ড. কামাল বলেন, আমি অনেক দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমি গভীরভাবে এই নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভোটের জন্য যে আনন্দ উল্লাস হওয়া উচিত ছিল তা কারও মধ্যে দেখা যায়নি। কারণ একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটের প্রয়োজনীয়তা কত বেশি তা আমরা জানি। ১৯৭১ সালে আমরা ভোট দিয়ে জিতেছিলাম। কিন্তু পাকিস্তান সরকার জোর করে আমাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছিল। ভোটাধিকার আদায়ের জন্য একাত্তরে আমরা প্রাণ দিয়েছি। সংবিধান অনুসারে জনগণই সব ক্ষমতার মালিক। আমরা সবাই রাষ্ট্রের মালিক। এই মালিকানা ভোটের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়। ৩০০ এলাকায় জনগণের দায়িত্ব নিতে প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়ায়। অনেক ঝড়-তুফানের মধ্য দিয়ে আমরা এই গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখেছি। তবে এই মালিকানা আমরা ধরে রাখতে পারছি কি-না তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এর আগে ড. কামাল হোসেন সকাল পৌনে ৯টায় ভিকারুননিসা স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন এবং ওই কেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ড. কামাল বলেন, ভোটে কারচুপি হচ্ছে। এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে, রাতেই বিভিন্ন এলাকায় ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এটা স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু এবং ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে বেইমানির শামিল। সেইসঙ্গে এটা খুবই উদ্বেগজনক ব্যাপার। ড. কামাল বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এটা অপ্রত্যাশিত। আমরা বলব, আমাদের দেশের পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অতীত-ভবিষ্যত রয়েছে। আশা করি তারা এর সুষ্ঠু তদন্ত করবে। সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একতরফা নির্বাচন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রাতেই ৩০ শতাংশ ভোট ব্যালটবাক্সে ভরা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশের প্রায় ২০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র দখল করেছে ক্ষমতাসীনরা। ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল তাদেরও বের করে দেয়া হয়। ধানের শীষের ভোটারদেরও ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এতো কিছু করার পরও মানুষ ভোটকেন্দ্রে গেছেন। জনগণ এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচনে সারাদেশের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তার কেন্দ্রের আশপাশে বোমা ফাটিয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহানের আসনের সব কেন্দ্র দখল করেছে। ভোলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকাকালে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে, আনন্দঘন হবে সেটা ভাবার কোন কারণ নেই। তার প্রমাণ আমাদের ক’জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও ভোটাররা ভোট দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, র‌্যাব-বিজিবি-পুলিশ তা-ব চালিয়ে সারাদেশে রাতেই নৌকায় সিল মেরেছে। একই সঙ্গে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শতাধিক আসনে কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। তিনি বলেন, শনিবার রাতের কোন এক সময় টাঙ্গাইল-২ আসনের সিমলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। রবিবার সকালে নিজের বাসার কাছে শ্যামপুর মডেল হাইস্কুলে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গুলি করা হয়েছে। তিনি এখন এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নরসিংদীতে ড. আব্দুল মঈন খানের আসনে ৯৫ ভাগ কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। নোয়াখালী-৩ এর ১২৯টি কেন্দ্রের ১২৭টি কেন্দ্রই দখল করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নমুনা দেখতে পেলাম না। রিজভী বলেন, যেসব জেলায় ভোট কারচুপি বেশি হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, মেহেরপুর, ভোলা, কুমিল্লা, ফেনী, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, বাগেরহাট, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, জামালপুর, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, বিবাড়ীয়া, শেরপুর, বরগুনা ও বরিশাল। দপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার নির্বাচনের নামে তামাশা করেছে। তিনি বলেন, সরকার এভাবে নির্বাচন করে জাতিকে দীর্ঘদিনের জন্য সমস্যায় ফেলবে। এতে নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আর আস্থা থাকবে না। প্রশাসনের ওপর মানুষের আর আস্থা থাকবে না। এটা দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল। নেয়াখালীর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে আমার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর একজনও বিএনপির নয়। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অভিযোগ করেন, ২২১টি আসনে ধানের শীষের এজেন্ট নিয়োগ করতে দেয়া হয়নি। এদিকে ভোটগ্রহণকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি বর্জনের ঘোষণা না দিলেও ব্যক্তিগতভাবে ক’জন প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ঘরে ফিরে যায় দুপুরের আগেই। এ ছাড়া জামায়াত গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে তাদের ২৪ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় দুপুরেই। তবে এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই বর্জনের ঘোষণা তাদের ব্যক্তিগত। দল ও জোট থেকে তাদের বর্জন করতে বলা হয়নি। ভোট দিলেন না মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী ॥ ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী ঢাকা-৯ আসনের বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস ভোট দেননি। বেলা সাড়ে ১১টায় শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে তারা নানা বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে নিজেদের ভোট না দিয়ে ফিরে যান।
×