ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি

হুমকির মুখে সাংবাদিক

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

হুমকির মুখে সাংবাদিক

সাংবাদিকদের টার্গেট করে হামলার ঘটনা চলতি বছর অনেক বেড়ে গেছে। যদিও যুদ্ধ ও সহিংসতা কেন্দ্র হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা কমে আসছে, কমিটি টু প্রটেক্স জার্নালিস্টের (সিপিজে) বুধবার প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা বলেছে। এএফপি। নিউইয়র্ক ভিত্তিক নজরদারি সংস্থা সিপিজে জানিয়েছে, এ বছর ৫৩ সাংবাদিক হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জনকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা চলতি বছর গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে প্যারিসভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডাসের (আরএসএফ) প্রকাশের রিপোর্টের সঙ্গে সিপিজের রিপোর্টের যথেষ্ট মিল রয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডাসের (আরএসএফ) প্রতিবেদন বলা হয়েছিল ২০১৮ সালে নজিরবিহীন সাংবাদিক নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। এ বছর ৮০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কেউ কারাদ-িত ও কাউকে জিম্মি করা হয়েছে। যে ৮০ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, তাদের অর্ধেকেরও বেশিজনকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে? ২০১৭ সালের তুলনায় সাংবাদিক হত্যার হার অন্তত ১৫ শতাংশ বেড়েছে। বিভিন্ন দেশে মোট ৩৪৮ সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৬০ জন জিম্মি হয়েছেন বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতে। আরএসএফ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করে, ২০১৮ সালের মতো এতটা ভয়াবহ নিপীড়ন ও নির্যাতনের মুখে সাংবাদিকরা আর কখনও পড়েনি। খুন, কারাদ-, জিম্মি হওয়া ও গুম সব ধরনের নির্যাতনেরই সম্মুখীন হয়েছেন সাংবাদিকরা। আরএসএফের প্রতিবেদন নিয়মিত সাংবাদিকের পাশাপাশি ব্লগার, সিটিজেন জার্নালিস্ট ও মিডিয়া কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। রিপোর্ট দুটি একটি বিষয়ে মিল রয়েছে যে সাংবাদিকরা এ বছর অধিকহারে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে এ ধরনের হামলার এবার অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধ বা সংঘাতের ক্ষেত্রগুলোতে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা ২০১১ সাল থেকে কমেছে। সিপিজে জানিয়েছে, গত বছর মোট ৪৭ সাংবাদিক নিহত হন, এদের মধ্যে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ১৮ জন। আফগানিস্তানকে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এপ্রিলে দেশটিতে এক বোমা হামলায় ৮ সাংবাদিক মারা যান। সবচেয়ে আলোড়ন তোলে জামাল খাশোগি হত্যাকা-ের ঘটনাটি। তিনি ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা কিংবা স্লোভাক অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইয়ান কুৎসিয়াকের বাগদত্তাসহ নিহত হওয়ার ঘটনাগুলো এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিকতায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিল আফগানিস্তানে, চলতি বছর দেশটিতে ১৫ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এর পরেই রয়েছে সিরিয়া, সেখানে নিহত হয়েছেন ১১ জন। সারা বিশ্বে কত সাংবাদিক, কবি এবং লেখক কারাবন্দী বা নিখোঁজ তার সঠিক হিসাব কারও জানা নেই। এমনকি লেখকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন পেন এর কাছে মামলার যে তালিকা রয়েছে, সেটাও পূর্ণাঙ্গ নয়। সংঘাতপূর্ণ দেশ নয়, কিন্তু সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে, এমন দেশগুলোর মধ্যে ওপরে রয়েছে মেক্সিকো।
×