ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

৩৬ টাকা কেজি চাল সংগ্রহের ঘোষণার পরও হতাশ কৃষক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

৩৬ টাকা কেজি চাল সংগ্রহের ঘোষণার পরও হতাশ কৃষক

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১০ ডিসেম্বর ॥ সরকার ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ অভিযানের ঘোষণার পর ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মণ প্রতি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত। ঘোষণার আগে কৃষক ৫৫০/৬০০ টাকা দরে বাজারে ধান বিক্রি করেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশিরভাগ কৃষক। ধান চাষীরা বলছেন, সরকার আমন ধান কাটার শুরুতেই যদি সংগ্রহ অভিযোগের ঘোষণা করত তাহলে এবার লাভবান হতো বলে ধারণা বেশিরভাগ কৃষকের। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরকার ৩৬ টাকা দরে চাল সংগ্রহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে বর্তমানে বাজারে মণ প্রতি ৭০০ টাকা দাম পাচ্ছে কৃষক। তাছাড়া জেলায় বরাদ্দের তালিকা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সরকার সংগ্রহ অভিযানের পরও ঠাকুরগাঁওয়ে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কম হওয়ায় খুশি হতে পারছেন না কৃষক। গত বছরের এই সময়ে ৮০ কেজি আমন ধান এক হাজার ৯০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর প্রথম ৫০০/৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেছে। হঠাৎ করে মণ প্রতি ১০০/২০০ টাকা বৃদ্ধির পরও হতাশ এ অঞ্চলের কৃষক। সদর উপজেলার চাষী আলাউদ্দিন বলেন, নতুন ধান কম দামে বাজারে বিক্রি করেছি, দাম তেমন পাইনি। বর্তমান বাজারে ধান বিক্রি করলে লোকসান কিছুটা হলেও কমত। কৃষকদের কাছে জানা যায়, এক একর জমিতে ধান হয়েছে ৪২ মণ। তা বাজারে বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে। কিন্তু খরচ হয়েছে ৩২/৩৩ হাজার টাকা। প্রথমে ধানের দাম না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে হয় চাষীকে। কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, কৃষকদের কাছে যখন ধান থাকে তখন যদি সংগ্রহ অভিযানের ঘোষণা দিত তাহলে ধান চাষে লাভবান হতে পারতেন অনেকে। এখন কৃষকের হাতে তেমন ধান নেই হঠাৎ বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন অনেকেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিন্টিকেটের মাধ্যমে জেলায় অধিকাংশ মিল মালিকগণ কম দামে কৃষকদের কাছে ধান ক্রয় করে পর্যাপ্ত মজুদ করে নিয়েছে। এর ফল চালের বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ইতোমধ্যে।
×