ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জমজমাট বড়দিনের ক্রিসমাস মার্কেট

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮

  জমজমাট বড়দিনের ক্রিসমাস মার্কেট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বড়দিন উপলক্ষে গেল ২৬ নবেম্বর থেকে জার্মানির বার্লিনে চালু হয়েছে ক্রিসমাস মার্কেট। বিক্রি হচ্ছে বড়দিনের প্রয়োজনীয় পণ্য ও উপহার সামগ্রী। দৈনন্দিন ব্যবহৃত পণ্যের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পানীয়। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে বড়দিন উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বার্লিনের এ মার্কেট। অন্যান্য শহরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি সেখানে ভিড় করছেন বিদেশীরাও। বড়দিনের কেনাকাটায় জমজমাট ইউরোপ আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এই উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছরই বিশেষ আয়োজন বসে জার্মানিতে। যার নাম ক্রিসমাস মার্কেট। দেশটির রাজধানী বার্লিন শহরে গেল সোমবার থেকে যা শুরু হয়েছে ষাটটির বেশি স্থানে। বিক্রি হচ্ছে বড়দিনের প্রয়োজনীয় পণ্য ও উপহার সামগ্রী। দৈনন্দিন ব্যবহৃত পণ্যের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পানীয়। এটি অসাধারণ উদ্বোধনী দিনে আসার পরিকল্পনা থাকলেও দূরত্বের কারণে সম্ভব হয়নি। এখানে বড়দিনের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য দারুণ এটি। দারুণ সব খাবারও রয়েছে। বড়দিনের পণ্য কিনতে বার্লিনে ছুটছেন, অন্য শহরের বাসিন্দারাও। শুধু জার্মানি নয় কেনাকাটা করতে আসছেন যুক্তরাজ্য, স্পেন, বলিভিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা। যাদের উপস্থিতি রঙিন করে তুলছে এই আয়োজনকে। ক্রিসমাসের কেনাকাটার জন্য বার্লিনে আসেন বিভিন্ন শহরের বাসিন্দা। বিদেশীরাও আসেন এখানে। যে দেশগুলোতে ক্রিসমাস মার্কেটের প্রচলন নেই- সেসব দেশ থেকেই বেশি পর্যটক আসেন। সব পণ্যই বিশেষ ছাড়ে বিক্রি হয়। মার্কেটে এক বিদেশী বলেন, ‘আমার মেয়ে বার্লিনে থাকে। তাদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করতেই স্ত্রীকে নিয়ে এখানে এসেছি। সে সুযোগে ক্রিসমাস মার্কেটে এলাম। এখানে ব্যতিক্রম ও দারুণ পণ্য বিক্রি হচ্ছে।’ ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে বড়দিন উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেট। এখানে কেনাবেচা চলে প্রায় দেড় মাস ধরে। বার্লিনকে বলা হয় ক্রিসমাস মার্কেটের রাজধানী। ৬০টির বেশি ক্রিসমাস মার্কেট রয়েছে এখানে। নবেম্বরের শেষ থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত এখানে ক্রিসমাসের কেনাবেচা চলে।
×