ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধানের শীষ নিয়ে ভোট করছেন জামায়াতের ২৫ নেতা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

ধানের শীষ নিয়ে ভোট করছেন জামায়াতের ২৫ নেতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতের সঙ্গে থাকলে বিএনপির সঙ্গে জোট করবে না বলে ড. কামালসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একসময় বিদ্রোহ ঘোষণা করলেও বিএনপি তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। বরং বিএনপি কোন অবস্থাতেই দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্রকে হারাতে চায়নি। তাই জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে শামিল হয়েছে দলটি। আর সেই সুযোগেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বিএনপির কাঁধে ভর করল জামায়াত। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্য শরিক দলগুলোর মতো জামায়াতও এবার বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ নিয়েই ২৫ আসনে নির্বাচন করছে। এদিকে জঙ্গীদের পেছনে অর্থ লগ্নির অভিযোগে বিচারের মুখে থাকা ব্যারিস্টার সাকিল ফারজাহাকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিই জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক। তারা জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতার পরে জঙ্গীকে মনোনয়ন দেবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াত নেতারা বলেছেন, দলীয় নিবন্ধন না থাকায় তারা এবার বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করছে। তাদের মুখে এমন কথা শুনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সকল শরিক দল ধানের শীষ নিয়ে ভোট করছে কিন্তু এ জোটের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এখন কিছুই বলছেন না। তাহলে তিনিও কি জামায়াতের সঙ্গে আপোস করলেন? উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। আর এ বছর ২৮ অক্টোবর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই জামায়াতের। তাই জামায়াত নেতারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবার নির্বাচন করছেন। এবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের শরিক জামায়াতকে ২৫টি আসন দেয়া হয়েছে। এ ২৫টি আসনে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে তারা হলেন-আব্দুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১), আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩), গোলাম রব্বানী (রংপুর-৫), মাজেদুর রহমান সরকার (গাইবান্ধা-১), রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), ইকবাল হুসেইন (পাবনা-৫), মতিউর রহমান (ঝিনাইদহ-৩), সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের (কুমিল্লা-১১), হামিদুর রহমান আজাদ (কক্সবাজার-২), শামসুল ইসলাম ( চট্টগ্রাম-১৫), আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন (যশোর-২), আব্দুল ওয়াদুদ (বাগেরহাট-৩), আবদুল আলিম (বাগেরহাট-৪), মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), আবুল কালাম আযাদ (খুলনা-৬), রবিউল বাশার (সাতক্ষীরা-৩), আব্দুল খালেক (সাতক্ষীরা-২), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), শামীম সাঈদী (পিরোজপুর-১), ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫), হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬) ও শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫)।
×