ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গা নিপীড়ন অমার্জনীয়’- সুচিকে মাইক পেন্স

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

‘রোহিঙ্গা নিপীড়ন অমার্জনীয়’- সুচিকে মাইক পেন্স

রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনকে ‘অমার্জনীয়’ অ্যাখ্যা দিয়ে এর জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। সিঙ্গাপুরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এক সম্মেলনের সাইডলাইনে বুধবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচির সঙ্গে আলোচনায় পেন্স এ সমালোচনা করেছেন। খবর ওয়েবসাইট। গণমাধ্যমের সামনে উন্মুক্ত আলোচনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, গত বছরের ওই বর্বরতার জন্য দায়ীদের ‘জবাবদিহিতার’ আওতায় আনা হয়েছে এমনটা শুনতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন তিনি। ‘সামরিক বাহিনী ও দুষ্কৃতকারীদের সৃষ্ট সহিংসতা এবং নিপীড়ন, যা ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য করেছে তার কোন মার্জনা নেই। সহিংসতা, যা লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত ও প্রাণহানিসহ অবর্ণনীয় ক্ষতি ডেকে এনেছে, তার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারে কী অগ্রগতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তা জানতে আগ্রহী,’ সুচির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে বলেন পেন্স। বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পাওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানতে ওয়াশিংটন অপেক্ষা করছে বলেও জানান তিনি। সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে আগেই দায়ী করেছিল। আগস্টে জাতিসংঘের একটি তদন্তদলও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যেই’ রাখাইনে বিস্তৃত আকারে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছিল বলে জানায়। পেন্সের বক্তব্যের জবাবে সুচি রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে তার আগের অবস্থানেই অটল থাকেন। গত বছরের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার প্রতিক্রিয়াতেই সেনাবাহিনী বৈধ অভিযান শুরু করে বলেও ফের মন্তব্য করেন তিনি। রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান না নেয়ায় চলতি সপ্তাহেই এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সুচিকে দেয়া তাদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ধারাবাহিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পশ্চিমের অন্যান্য দেশ ও সংস্থা তাকে যেসব সম্মানসূচক পুরস্কার দিয়েছিল তার অনেকগুলোও এর মধ্যেই ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। সম্মেলনের সাইডলাইনের আলোচনায় পেন্স সুচিকে জানান, ওয়াশিংটন মিয়ানমারে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক গণমাধ্যম দেখতে চায়। গত বছর থেকে কারাগারে থাকা রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিষয়ে লাখ লাখ মার্কিনী ‘গভীর উদ্বিগ্ন’ বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
×