ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় সুপার স্পেশালাইজড ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৮ নভেম্বর ২০১৮

ঢাকায় সুপার স্পেশালাইজড ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার ঢাকায় সুপার স্পেশালাইজড ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, এই হাসপাতাল চালু হলে দেশের সাধারণ মানুষ দেশে বসেই সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্ব মানের চিকিৎসা পাবে। ক্যান্সার রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আর বিদেশে যেতে হবে না। এ সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালের নাম ‘বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড ক্যান্সার হাসপাতাল’ রাখার প্রস্তাব করেন। বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় চীন সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত নক্সা প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে একটি বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুস সাত্তারসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা এবং চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যাধুনিক এই বিশেষায়িত হাসপাতালে দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসার সুবিধা থাকবে। গত দশ বছরে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু করেছে। সম্প্রতি রাজধানীতে উদ্বোধন হওয়া ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল’, ‘গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল’, গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা চক্ষু হাসপাতাল, রাজধানীর নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউট, মুগদা হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি নতুন হাসপাতালের নাম এ সময় তিনি উল্লেখ করেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এছাড়াও পুরনো কয়েকটি হাসপাতালের সংস্কার ও সম্প্রসারণও করেছে সরকার। ফলে দেশের জনগণ এখন দেশেই অত্যাধুনিক চিকিৎসা পাচ্ছে এবং চিকিৎসার জন্য মানুষের বিদেশমুখী হওয়ার প্রবণতা কমেছে।
×