ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৪ নভেম্বর ২০১৮

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। কামরাঙ্গীরচরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শনিবার বিকেলে রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের একটি নির্মাণাধীন চার তলা ভবনের মাচা ভেঙ্গে নিচে পড়ে মান্নান (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলায়। নিহতের সহকর্মী আলম মোল্লা জানান, বিকেল ৪টার দিকে ওই নির্মাণাধীন ছয় তলা ভবনের চার তলায় একটি মাচানের ওপর মান্নান কাজ করছিলেন। ওই সময় মান্নান মাচা ভেঙ্গে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে একইদিন দুপুরে রাজধানীর ভাটারায় নতুন বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ৪র্থ তলা থেকে পড়ে নুর (৪০) নামে আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সহকর্মী হীরা জানান, মসজিদটি আট তলা করা হচ্ছে। এর চার তলার বাইরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় কাজ করছিলেন নুর। তিনি সেখান থেকে অনবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে উদ্ধার করে দুপুর ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গৃহবধূর আত্মহত্যা ॥ শুক্রবার রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিষপানে তানিয়া আকতার (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মৃত তানিয়ার পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অমানুষিক নির্যাতনের কারণেই তানিয়া বিষপান করেন। তার বাবার নাম স্বপন মিয়া। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার তারাকান্দি গ্রামে। জানা গেছে, তানিয়ার মা-বাবাসহ শ্বশুর-শাশুড়ি সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়ুদার। আর তানিয়ার স্বামী আরিফ বেকার। নিহতের মা মোকছেদা বেগম জানান, সাত মাস আগে হাজারিবাগের গণকটুলি সিটি কলোনির বাসিন্দা আবদুর রহমানের ছেলে আরিফ মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম দুই-এক মাস ভালই কাটে। এরপর থেকে টাকা-পয়সার জন্য ওই বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। এ কারণে তানিয়া তাদের কামরাঙ্গীরচরের বাসায় চলে আসেন। এরপর থেকে সে এখানেই মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন। শ্বশুরবাড়ি নিয়ে সব সময় চিন্তা করতেন। তিনি বলেন, বিয়ের আগে বলেছিলাম মেয়েকে এক বছরের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনে চাকরি দিয়ে দেব। দিতে দেরি হওয়ায় তারা মেয়ের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করত। আর তাই মেয়েটি মারা গেছে। তানিয়াকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন নিহতের স্বামী আরিফ। কামরাঙ্গীরচর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তানিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রমাণাদিসহ অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেয়া হবে বলে ওসি জানান।
×