ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাশোগির ছেলে সালাহ সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

খাশোগির ছেলে সালাহ সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে

তুরস্কের সৌদি কনসুলেটের ভেতর খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগির ছেলে সালাহ দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। তার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কয়েক মাস ধরেই তার সৌদি ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল। রিয়াদ সম্প্রতি ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে সালাহ বুধবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশ ছাড়েন। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে হত্যাকান্ডের শিকার জামাল খাশোগির ছেলের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওরও চাপ ছিল। খবর ইয়াহু নিউজ। বৃহস্পতিবার সৌদি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক সালাহ ওয়াশিংটনে পৌঁছান বলে তার পরিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তার মা ও তিন ভাইবোন আগেই এখানে অবস্থান করছিলেন। খাশোগির ছেলের যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো জানান, সালাহর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পম্পেও রিয়াদকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের কনসুলেটের ভেতর কী ঘটেছিল, তা জানতে সৌদি আরবের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান এ সহকারী মুখপাত্র। ‘জামাল খাশোগির হত্যাকা-ে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাজ ও মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ করতে ইচ্ছুক আমরা,’ বলেন তিনি। প্রথম দিকে উড়িয়ে দিলেও গত সপ্তাহ থেকে সৌদি আরবের কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টের কলামমিস্ট খাশোগিকে কনসুলেটের ভেতরেই মেরে ফেলা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। অবশ্য কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে একেকজন একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। খাশোগির মৃতদেহ কোথায়, তা নিয়েও নেই সদুত্তর। হত্যাকা-ের দায়ে রিয়াদ ১৮ জনকে গ্রেফতার ও পাঁচ উর্ধতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে বলে জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম। বরখাস্তদের মধ্যে রাজপরিবারের উপদেষ্টা সউদ আল কাহতানিও আছেন। স্কাইপে তিনিই খাশোগিকে হত্যায় সৌদি গুপ্তচরদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। পর্যবেক্ষকরা অবশ্য বলছেন, কাহতানির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা হলেও, ক্রাউন প্রিন্সের অনুমতি ছাড়া এ উপদেষ্টার পক্ষে এমন ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব হতো না। তুরস্কের তদন্ত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মার্কিন অনেক আইন প্রণেতাও খাশোগি হত্যাকা-ের মূল নির্দেশদাতা সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বলেই অভিযোগ করে আসছেন। সৌদি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও সৌদ আল কাহতানির সব ধরনের কাজে ক্রাউন প্রিন্সের তদারকি থাকে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। রাজপরিবারের অনেক নীতির সমালোচক খাশোগি হত্যাকা- যে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল, বৃহস্পতিবার তা বলেছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিও। বাদশা সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের সঙ্গে রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে দেখা করার একদিন পর সালাহ দেশ ছাড়লেন।
×