স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী অনুদানে নির্মিত ‘ভুবন মাঝি’ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালের ৩ মার্চ বাংলাদেশে মুক্তি পায়। এরপর চলচ্চিত্রটি বিশ্বের কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে আরও দুটি উৎসবে অংশ নিচ্ছে চলচ্চিত্রটি। এগুলো হলো গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও বার্সিলনার এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ভারতের গোয়াহাটিতে শুরু হচ্ছে ‘গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। সাত দিনের এই উৎসবের সমাপনী হবে ৩১ অক্টোবর। অন্যদিকে ৩১ অক্টোরব থেকে শুরু হচ্ছে ‘এশিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বার্সিলনা’। গড়াই ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ‘ভুবন মাঝি’ চলচ্চিত্রের কাহিনী ও চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা করছেন ফাখরুল আরেফিন খান। এটি তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং বাংলাদেশের অপর্ণা ঘোষ, মাজনুন মিজান, কাজী নওশাবা আহমেদ, সুমিত সেন, সুষমা সরকার, মামুনুর রশীদ, শুভাশীষ ভৌমিক, ওয়াকিল আহাদ, লালিম হক প্রমুখ। ‘ভুবন মাঝি’ চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী প্রয়াত কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। উৎসবে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, চলচ্চিত্রটি এরই মধ্যে বিশে^র অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। এটা আমার জন্য অনেক ভাল লাগার। যে বিশে^র অনেক দেশের প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি বিদেশীরাও চলচ্চিত্রটি দেখছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের বার্সিলনা ও ভারতের গুয়াহাটির দুটি উৎসবে অংশ নিচ্ছে চলচ্চিত্রটি। আশা করছি সেখানকার দর্শকদের কাছে চলচ্চিত্রটি ভাল লাগবে। ‘ভুবন মাঝি’ চলচ্চিত্রটি একজন সাধারণ সংগ্রামী মানুষের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার গল্প। গল্পের শুরু ১৯৭০ সালে শেষ হয় ২০১৩ সালে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে কুষ্টিয়া শহরে ডিগ্রী পড়তে আসে নহির পরমব্রত। দেশজুড়ে নির্বাচন আর স্বাধীনতার আন্দোলন তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করেনি। বরং চাচাত বোনের বান্ধবী ফরিদা বেগম অপর্ণা ঘোষ আর থিয়েটার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু ধীরে ধীরে স্বাধীনতাসংগ্রাম ও বাংলাদেশের জন্মের বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে যায় সে। ১৯৭১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ইতিহাস ও প্রেম, বিদ্রোহ ও মানবিকতা, স্বাধীনতা এবং সংস্কৃতি এসব নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘ভুবন মাঝি’ চলচ্চিত্রের গল্প।
