ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

কী পেলাম বা পেলাম না চিন্তা না করে দেশকে গড়ে তুলতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কী পেলাম বা পেলাম না চিন্তা না করে দেশকে গড়ে তুলতে হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করতে নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ক্ষমতায় এসেছি। রাজনীতি করি জনগণের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করছি বলেই শত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। বাংলাদেশের এই অগ্রগতি এখন আর কেউ থামাতে পারবে না। দেশ যত এগিয়ে যাবে, যত উন্নত হবেÑ ততবেশি সুফল ভোগ করা যাবে। তাই দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কী পেলাম, না পেলামÑ সেই চিন্তা না করে আগে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের আগামী দিনের প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায়; সেই লক্ষ্যই নিয়েই কাজ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য আমি সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। শনিবার গণভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২২তম জাতীয় কনভেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তাঁর আগে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল এ্যালবামে স্বাক্ষর করে ‘গ্লোবাল কম্পিটিটিভ টিভিইটি (টেকনিক্যাল এ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন এ্যান্ড ট্রেইনিং) ফর চ্যালেঞ্জেস অব আইআর (ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলিউশন) ৪.০’ শীর্ষক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামগুলোকেও নগরের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ৪টি সরকারী মহিলা পলিটেকনিক ও ২৩টি বিশ্বমানের নতুন পলিটেকনিক স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, একজন নোবেল লরিয়েট পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন। কানাডার আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু কোন দুর্নীতি প্রমাণ হয়নি। আমি তখন বলেছিলামÑ আমি দুর্নীতি করতে বসিনি, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে বসেছি। নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম এবং আমরা তা করছি। তিনি বলেন, আমরা কোথায় ছিলাম, কী অবস্থায় ছিলাম, সেটা কেউ জানেও না। এই প্রজন্ম সেসব জানে না। কিন্তু আজ আমরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে সারা বিশ্বে শীর্ষ তালিকায় রয়েছি। মাছ থেকে শুরু করে ধান-সবজি উৎপাদনে বিশ্বের কোথাও তৃতীয়, কোথাও চতুর্থ-পঞ্চম অবস্থানে এখনও আমাদের অবস্থান। গত ৯ বছরে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে এ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য সকলকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যত বেশি উন্নত হবে আপনারা (ডিপ্লোমা প্রকৌশলী) তত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। দেশ উন্নত হলে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অনেক বছর আমাদের নষ্ট হয়ে গেছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এই ২১টি বছর হারিয়ে গেছে। যে সময়টা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোন উন্নতিই হয়নি। উন্নতি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের এবং তাদের ঘিরে থাকা মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর। বৃহৎ জনগোষ্ঠী কিন্তু বঞ্চিতই ছিল। তিনি বলেন, এই বঞ্চিত মানুষকে বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেয়াই আমি মনে করি আমার দায়িত্ব। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি। তাই একে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই আমরা গড়ে তুলব। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা, মিল-কারখানা নির্মাণ ও স্থাপনের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীদের কাজের গুণগত মানের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব কাজের গুণগত মান বজায় থাকে সেজন্য আপনারা দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পরিকল্পনা নেয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিনিয়ত আমাদের যেমন ভূমিক্ষয় হয়, নদী ভাঙ্গনে নতুন নতুন চরও জেগে জাগে। কাজেই এদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সেই পাকিস্তান আমল থেকেই বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম শুরু করেন। তাঁর ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকে আমরা স্বাধীন জাতি। তিনি যেই মুহূর্তে এই স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন ঠিক তখনই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি, আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভানেত্রী নির্বাচিত করলে আমি এক প্রকার জোর করেই দেশে ফিরে এলাম। তার পর থেকেই আমার প্রচেষ্টা এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কি পেলাম, কি পেলাম না সে চিন্তা না আমি কখনও করিনি। ছেলে-মেয়েকে বললাম একটাই সম্পদ দেব- সেটা হচ্ছে শিক্ষা, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে, আর কোন সম্পদ নয়। বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। তাই ছোট ছোট বাচ্চা, ১০ বছরের ছেলে, ৮ বছরের মেয়েকে স্নেহবঞ্চিত করে চলে এসেছিলাম বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে। কারণ বাংলার মানুষ শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত ছিল এবং আমরা পরিকল্পিভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি দেখেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের সামনে অনেক দূর যেতে হবে সে পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি। সরকারী কর্মচারীদের বেতন ১২৩ ভাগ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের কাজের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়েছি। কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ যাতে সুন্দর হয় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি এবং সর্বোপরি এত বেশি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি যার সুফল বাংলাদেশের জনগণ পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রকৌশলীদের একটা ইনক্রিমেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সরকারী কর্মচারীদের যে হারে বেতন বাড়িয়েছি তাতে আর কিছু দাবি না করাই উচিত ছিল। তারপরও আপনাদের ইনক্রিমেন্টের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা বৈঠক হয়েছে। এ ব্যাপারে শীঘ্রই একটি ভাল ঘোষণা আসতে পারে। দক্ষ মানবসম্পদের চেয়ে কোন সম্পদই বড় নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এজন্য জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছি। তিনি বলেন, গত সাড়ে ৯ বছরে দেশব্যাপী সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে প্রায় ৫০০ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ইউনিভার্সিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতির পাশাপাশি সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে ডাবল শিফট চালু করা হয়েছে। টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তেই ডেল্টা প্ল্যানের পরিকল্পনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাপাসিটি ২৫ হাজারের স্থলে ১ লাখে উন্নীত করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তাঁর সরকার এমডিজি বাস্তবায়নে সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে আমরা এসডিজির বিভিন্ন অভীষ্ট অর্জনে কাজ করে যাচ্ছি। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনেও আমরা সফল হবো ইনশা আল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা শত বছরের ডেল্টা প্ল্যান বা বদ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক সূচকে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৭৫২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী ও সামাজিক সুরক্ষা বলয় সৃষ্টির ফলে দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর ওপর যেন চাপ কমে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রামগুলোকে আরও উন্নত করতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো হবে। গ্রামেও যেন মানুষ উন্নত বাড়িঘর করতে পারে সেজন্য ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ঢাকাকে আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাজুড়ে আমরা সার্কুলার রোড করব। এই সার্কুলার রোড হবে মাটিতে নয় আকাশ জুড়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস হবে। ঢাকা অত্যাধুনিক শহর হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন আর কেউ থামাতে পারবে না। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আইডিইবি সভাপতি প্রকৌশলী একেএমএ হামিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে কাকরাইল আইডিইপি ভবনের উর্ধমুখী সম্প্রসারণ কাজ এবং ভবনটির সম্মুখে রক্ষিত স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যও উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে একজন মরণোত্তরসহ তিনজনকে এ বছরের আইডিইবি স্বর্ণপদক প্রদান করেন। স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন- আব্দুল কাদের সরকার, সৈয়দ উদ্দীন আহমেদ ওরফে চলচ্চিত্র নির্মাতা ছোটকু আহমেদ এবং মরহুম মোঃ সফর আলী মিয়া (মরণোত্তর)। স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন এবং মরহুম সফর আলী মিয়ার পক্ষে তাঁর বড় ছেলে এটিএম মোজাহারুল হোসেন পদক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষাবিদ, বিদেশী কূটনীতিক এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত অতিথি এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সারাদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন আইডিইবির তিনদিনব্যাপী ২২তম জাতীয় কনভেনশন উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বানানো রোবট ‘টিভিইটি’ প্রধানমন্ত্রীকে মঞ্চে স্বাগত জানায় এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়।
×