ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে রওনা দিয়েছে প্রতিনিধি দল

টিকফার চতুর্থ বৈঠকে জিএসপি ইস্যুতে আলোচনা নয়

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টিকফার চতুর্থ বৈঠকে জিএসপি ইস্যুতে আলোচনা নয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টিকফা ফোরামের চতুর্থ বৈঠকে যোগ দিতে বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসুর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রতিনিধিদলটি আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য টিকফা ফোরামের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হবে। জানা গেছে, এবারের বৈঠকে জিএসপি ইস্যুতে আলোচনা করতে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ। তবে পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার হওয়ার পরও একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি করা হচ্ছে। বার্ষিক রফতানির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার। রফতানির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রও বিপুল শুল্ক আদায় করছে। উল্লেখ্য, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়। এই সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশকে এ্যাকশন প্ল্যান নামে বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়। সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কি না তা তদারকিতে ক্রেতাদের সংগঠন এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্স গত কয়েক বছর বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেছে। দেশের বেশিরভাগ কারখানা এখন কমপ্লায়েন্স। কিন্তু এখনও জিএসপি ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। একই সঙ্গে পোশাকের ন্যায্যমূল্যও নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি জানান, আর জিএসপি সুবিধা চাওয়া হবে না। বরং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ মুহূর্তে পোশাকের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ফোরাম ও আলোচনায় বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটাই এখন বড় ইস্যু। পোশাকের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করা হলে এ খাতের সব সঙ্কট দূর করা সম্ভব হবে। এর আগে গত বছর ঢাকায় ফোরামের তৃতীয় বৈঠক হয়েছিল। সাসটেইনেবল কম্প্যাক্ট ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এবারও প্রতিটি পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন চালু এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরির ওপর তাগিদ দেয়া হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের তুলার বড় বাজার ধরতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এদেশের গার্মেন্টসখাতে বিপুল তুলার প্রয়োজন হয়, যার বেশিরভাগই আমদানি হয় ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। তুলার এই বড় বাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে। আর তাই টিকফায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তুলা রফতানি প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানাবে। তৈরি পোশাকের ন্যায্যদাম নিশ্চিত করার বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ। এছাড়া অবকাঠামোখাতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় অঙ্কের বিনিয়োগ চাইবে বাংলাদেশ।
×