ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কট ॥ বিপাকে রোগী

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ডাক্তার সঙ্কট ॥  বিপাকে রোগী

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৫ সেপ্টেম্বর ॥ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গাইবান্ধা ২০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এতে করে ডাক্তার সঙ্কট থাকায় একদিকে যেমন রোগীরা পড়েছেন বিপাকে, তেমনি এখন যে ডাক্তাররা দায়িত্ব পালন করছেন তারাও বাড়তি রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া গত ১০ মাসে ৩ বার নষ্ট হয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি। সেজন্য গাইবান্ধার এ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তারসহ সব পদে জনবল সঙ্কট নিরসন করা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করা একান্ত অপরিহার্য। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে স্থাপিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০০৫ সালে ও ২০০ শয্যায় উন্নীত হয় ২০১৪ সালে। পরে এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছে। ২০০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও জনবল অনুমোদন পায়নি এখনও এই হাসপাতালটি। এখন যে অবকাঠামো রয়েছে তা ৫০ শয্যার অবকাঠামো। ফলে ১০০ শয্যার জনবল দিয়েই ৫০ শয্যার অবকাঠামোটি দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসক ও রোগীদের নানা সমস্যা সঙ্কটসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে সিনিয়র কনসালটেন্ট পদে ৭, জুনিয়র কনসালটেন্ট ৫, মেডিক্যাল অফিসার ৩, সহকারী সার্জন ৮, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার, প্যাথলজিস্ট ও রেডিওলজিস্ট পদে ১ জন করে শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ নার্স, কম্পিউটার অপারেটর, স্টেনোটাইপিস্ট, রিসিপসনিস্ট, কার্ডিওগ্রাফার, ইনস্টুমেন্ট কেয়ার টেকার, লিলেন কিপার, টিকেট ক্লার্ক, ওয়ার্ড মাস্টার, স্টেরিলাইজার কাম মেকানিক, জেনারেটর অপারেটর, ল্যাবরেটরি এটেনডেন্ট, স্ট্রেচার বেয়ারার, ডার্করুম সহকারী, ওটি বয় এবং ওটি এটেনডেন্ট ও কুক পদে ১ জন করে এবং সহকারী নার্সের পদ ২টি দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনী, অর্থোপেডিক্স (হাড়) ও ডেন্টিস্ট বিভাগের চিকিৎসক বহাল থাকলেও নেই নাক-কান-গলা, চর্ম ও যৌন এবং চক্ষু রোগের চিকিৎসক। এসব রোগের ডাক্তার না থাকায় দরিদ্র রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডাঃ অমল চন্দ্র সাহা (এসি সাহা) বলেন, ডাক্তারসহ অন্যান্য পদে জনবল চেয়ে অনেকবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। গত জুলাই মাসে তিনজন ডাক্তারকে এখানে পোস্টিং দেয়া হলেও তারা যোগদান করেনি। এদিকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এত রোগীকে সামলাতে এখন যে কয়েকজন ডাক্তার আছেন তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই আরও ডাক্তারসহ অন্যান্য শূন্য পদের জনবল অতিদ্রুত দরকার এই হাসপাতালে।
×