পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি আশা করছেন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে শুরু হবে। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে ইসলামাবাদ যাওয়ার আগে তিনি এ মন্তব্য করলেন। খবর এএফপির। দক্ষিণ এশিয়া সফরের প্রাক্কালে পম্পেও সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জালমে খলিলজাদ আফগানিস্তানে শান্তি প্রচেষ্টায় নতুন ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানান। ওয়াশিংটন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা তহবিল বাতিল করে দেয়ার কয়েকদিন পর পম্পেও পাকিস্তানের বিষয়ে আপোষমূলক এ মন্তব্য করেন। ওই অঞ্চলে মার্কিন নীতির পক্ষে ইসলামাবাদ ‘সুস্পষ্ট পদক্ষেপ’ না নেয়ায় এই তহবিল বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। পম্পেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফর করছেন। আফগান যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন এই অধ্যায় শেষের সময় এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, প্রথমে পাকিস্তানে যাব। দেশটির নতুন নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করব। তার শাসন আমলে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন করে শুরু করতে চাই। পম্পেও বলেন, আমাদের দুই দেশের সামনেই কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী যে আমরা অভিন্ন স্বার্থ খুঁজে পাব এবং সেখানে আমরা একসঙ্গে আমাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারব। মার্কিন কর্মকর্তারা আফগান তালেবান ও হাক্কানী নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশ্রয় দেয়া, এমনকি তাদের সহায়তা করছে বলেও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর জন্য আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তান ভূখ- অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এবং সেখান থেকে তারা আফগানিস্তানে হামলা চালাচ্ছে বলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের বিশ্বাস পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি ও অন্যান্য সামরিক সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে তালেবানদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছে। এভাবে তারা আফগানিস্তানে ভারতীয় প্রভাব ঠেকাতেও চেষ্টা চালাচ্ছে।