ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুচির পদত্যাগ করা উচিত ছিল

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ৩০ আগস্ট ২০১৮

সুচির পদত্যাগ করা উচিত ছিল

অনলাইন ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে পুরোপুরি ব্যর্থ মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচি। সংখ্যালঘু এই জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত অভিযান বন্ধে কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করতে না পারায় তার বহু আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিদায়ী প্রধান রাদ আল হুসেইন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে রাদ আল হুসেইন রোহিঙ্গা ইস্যুতে নোবেল জয়ী এই নেত্রীর নীরব ভূমিকাকে ‘গভীর অনুশোচনাদায়ক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার কাছ থেকে এমন এক সময়ে এই ধরণের মন্তব্য এলো, যখন মিয়ানমারে গণহত্যা চালানোর জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। যদিও এ ধরণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনো ঘটনাকে তারা সমর্থন করে না। কিন্তু গত সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে জাতিগত নিধনযজ্ঞে জড়িত। ইতোমধ্যে এ ধরণের অপরাধের কথা তারা স্বীকারও করেছে। প্রতিবেদনে সুচির কঠোর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সংখ্যালঘু নিধন অভিযান বন্ধে কোনো চেষ্টাই চালাননি সুচি। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। রাদ আল হুসেইন বলেন, সুচি এমন এক অবস্থানে রয়েছেন যেখান থেকে তার অনেক কিছু করার ছিল। এমনকি তিনি সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই না গেয়ে অন্তত নীরব থাকতে পারতেন। অথবা তিনি পদত্যাগ করলেই সবচেয়ে ভালো হতো। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হওয়ার প্রয়োজন ছিলো সুচির। রাদ আল হুসেইন আরো বলেন, সুচি বলতে পারতেন যে তিনি দেশটির নামমাত্র নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা খুবই সীমিত। কিন্তু তিনি এমন কথাও বলেননি।
×