ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী হামলায় জড়িত সবাই গ্রেফতার, ১০ জনের কোর্টে স্বীকারোক্তি

হোটেল ওলিওর বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে, চার্জশীট প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৬ আগস্ট ২০১৮

হোটেল ওলিওর বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে, চার্জশীট প্রস্তুত

শংকর কুমার দে ॥ ’১৭ সালের জাতীয় শোক দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন শ্রদ্ধা জানাতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যাবেন তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি পৌঁছাতে না পারলেও মন্ত্রী, এমপি, ভিআইপি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছাকাছি বিস্ফোরণের ঘটনার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গী সংগঠন নব্য জেএমবির। এ সময় বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলার চক্রান্ত ছিল পান্থপথের ওলিও ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে এ ধরনের তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। পান্থপথের ওলিও ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিলের প্রস্তুতি চলছে। জঙ্গী হামলার সঙ্গে জড়িত প্রায় সবাই গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৪ জঙ্গী। এর মধ্যে ১০ জঙ্গী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের জানান দেয়ার জন্য ধানম-ির ৩২নং বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলার ষড়যন্ত্র করে নব্য জেএমবি। ২০১৮ সালের ১৫ আগস্টে এক বছর পূর্তি দিবস উপলক্ষে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে এই তথ্য দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সিটিটিসি সূত্র জানায়, ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছর ২০১৭ সালের ১৫ আগস্টে ধানম-ির ৩২নং সড়কে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক জ্ঞাপনের জন্য পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ সমবেত হলে আত্মঘাতী এই হামলা চালানোর চক্রান্ত করে জঙ্গী সংগঠন নব্য জেএমবি। হামলার ছক বাস্তবায়নের জন্য ১৫ আগস্টের আগের দিন ১৪ আগস্ট পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষে বোমা নিয়ে উঠেছিল নব্য জেএমবির এক আত্মঘাতী। হামলার জন্য জঙ্গীরা সক্রিয় ছিল ডার্কওয়েবে। হামলার নির্দেশনা আসে জঙ্গীদের নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ধানম-ির ৩২ নম্বরে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণের। কিন্তু তার আগেই পুলিশের অভিযানে হোটেল কক্ষেই সেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা যায় আত্মঘাতী জঙ্গী সাইফুল ইসলাম। তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে মামলার তদন্তের অগ্রগতি আশাতীত। কারা, কেন ও কী উদ্দেশ্যে এই হামলার ছক কসেছিল তার রহস্য উদঘাটন করেছে তদন্তকারী সংস্থা। মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে।
×