ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বড়ালের তীব্র ভাঙ্গনে বাড়ি বিলীন

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৩০ জুলাই ২০১৮

বড়ালের তীব্র ভাঙ্গনে বাড়ি বিলীন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৯ জুলাই ॥ ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়াল নদী এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ৫ দিনে তীব্র ভাঙ্গনে অন্তত ১০টি বসত বাড়ি, নদীর দু’পাশের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও রাস্তাঘাট বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে নিস্ব পরিবার অন্যের জায়গায় ও সরকারী রাস্তার উঁচু পাশে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের বিভিন্ন মহল্লায় প্রবেশ করেছে। ফলে পৌর এলাকার কয়েকটি রাস্তাঘাটের পাশের মাটি সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পৈত্রিক ভিটাবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বড়াল নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের এসআর পাড়া, সওদাগর পাড়া, আরাজী ও পারভাঙ্গুড়া মহল্লায় আরসিসি রাস্তাগুলো ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তাগুলো রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিলেও নদী ভাঙ্গন থেকে তা রক্ষা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হচ্ছে। ফলে আরও প্রায় ১০/১২টি বসতবাড়ি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন রয়েছে। নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারানো এসআর পাড়ার আব্দুর রহিম জানান, টানা বর্ষণ ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়াল নদীর তীব্র ভাঙ্গনে গেল কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়িঘর, গাছপালা এবং জায়গা জমি সব হারিয়েছি। বর্তমানে অন্যের বাড়ি থাকি। পৌরসভা থেকে ৫ হাজার টাকা দিলেও তা দিয়ে তেমন কিছু হচ্ছে না। একই মহল্লার ভাঙ্গনের শিকার শ্যামল কুমার, শুকুর আলী, শফিকুল ইসলাম ও নারায়ণ চন্দ্র জানান, নদীতে তাদের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে বাঁশের প্যালাসাইডিং দিয়েও শেষ পর্যন্ত রেহাই মেলেনি। ৫ দিনে নদী ভাঙ্গনে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। নদী পাড়ের প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্ক। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েও ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল হক ঘটনার সতত্যা স্বীকার করে জানান, বড়াল নদী ভাঙ্গন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×