ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে তিন শ’ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের অস্তিত্ব মিলেছে বঙ্গোপসাগরে

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৬ জুলাই ২০১৮

 সাড়ে তিন শ’ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের অস্তিত্ব মিলেছে বঙ্গোপসাগরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২৯৮ প্রজাতির চিংড়ি আর তলদেশীয় মাছসহ সাড়ে তিন শ’ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের অস্তিত্ব মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। ২০১৬ সালে শুরু করা জরিপ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে কাজ চলছে মাছের মজুদ নির্ণয়ের। সব বিশ্লেষণ ও যাচাই-বাছাই শেষে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা পড়বে সরকারী দফতরে। জরিপ জাহাজ মীন সন্ধ্যানীর মাধ্যমে দেশের সমুদ্র এলাকায় গবেষণা শুরু হয় ২০১৬ সালে। গেল ২ বছরে বঙ্গোপসাগরে ১৪শ’ ৪০টি ব্লক তৈরি করে তার ৮০টিতে ১৬টি অভিযান চালায় মীন সন্ধ্যানী। অনুসন্ধানে মূলত চিংড়ি এবং তলদেশীয় মাছের পাশাপাশি অন্যান্য সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। তাতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩শ’ প্রজাতির মাছসহ সাড়ে ৩শ’ প্রজাতির সমুদ্র সম্পদের অস্তিত্ব মিলেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশ্লেষণ শেষে আগামী অক্টোবর-নবেম্বর নাগাদ সরকারের কাছে জরিপের প্রথম প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। গবেষণা কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও)-এর কর্মকর্তা পল ফেনিং। তার মতে, অনিয়ন্ত্রিত আর অপরিকল্পিত আহরণের ফলে মৎসসহ সমুদ্র সম্পদের প্রাচুর্য কমেছে। এমন বাস্তবতায় যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও তথ্য সংগ্রহে জুলাই শেষে নরওয়ে থেকে যোগ দিচ্ছে ডক্টর ফ্রিডজেফ ন্যানসন নামের আরও একটি বিশেষায়িত জাহাজ। এই গবেষণা বা অনুসন্ধান পুরোপুরি শেষ হলে এর ফলাফল সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
×