ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ১১০

কিউবায় নিহতদের স্মরণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২০ মে ২০১৮

কিউবায় নিহতদের স্মরণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

কিউবায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শনিবার সকালে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন শুরু করছে দেশটি। এ দুর্ঘটনায় যাত্রী ও ক্রুসহ মাত্র তিন জন বাদে বিমানের ১০৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস কানেল জানান, শুক্রবার ৪০ বছরের পুরনো বোয়িং ৭৩৭ জন যাত্রী বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। বিমানটি মেক্সিকোর একটি কোম্পানি হতে কিউবানা ডি এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ইজারায় এনে পরিচালনা করে আসছিল। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের সকলেই নারী বলে জানা গেছে। কিউবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা কিউবানার একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ শুক্রবার শতাধিক আরোহী নিয়ে হাভানার হোসে মার্তি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। পাঁচ শিশু ও ক্রু সদস্য মিলিয়ে বিমানটিতে মোট ১১০ আরোহী ছিল; তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকিরা সবাই মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার পর কানেল বহু হতাহতের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। দুর্ঘটনাস্থলের আগুন নিভিয়ে ফেলার পর উদ্ধারকর্মীরা নিহতদের লাশ শনাক্তে কাজ শুরু করেন। কি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিয়েও এখন তদন্ত চলছে। কিউবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ রুটের ওই ফ্লাইটটি রাজধানী হাভানা থেকে ১১০ যাত্রী নিয়ে দ্বীপ দেশটির পূর্ব অংশের ওলগিনে যাচ্ছিল। তুলনাহীন বেশ কয়েকটি সমুদ সৈকতের জন্য প্রাদেশিক রাজধানী ওলগিন পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৮ মিনিটে রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর এবং সান্তিয়াগো দে লাস ভেগাস শহরের মাঝামাঝি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর আগে ২০১০ সালে কিউবায় এরো ক্যারিবিয়ানের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৬৮ আরোহীর সবাই নিহত হন। গত বছরও একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৮ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছিলেন। -এএফপি
×