ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানে চিনি নিয়ে মিলারদের কারসাজি

প্রকাশিত: ০৭:৫৯, ১৮ মে ২০১৮

 রমজানে চিনি নিয়ে মিলারদের  কারসাজি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় পাইকারি পর্যায়ে ছোলা এবং তেলের দাম কমলেও রসুন, পেঁয়াজ ও চিনির দাম বেড়েই চলেছে। মেসার্স সালাম ম্যানেজার ট্রেডিং জুয়েল মহাজন বলেন, মসুরির ডাল যেখানে গত সপ্তাহে ৭৫ টাকা ছিল। এ সপ্তাহেও ৭৫ টাকাই রয়েছে। আর এন এন্টারপ্রাইজ মালিক আলমগীর পারভেজ বলেন, প্রচুর মাল মজুদ আছে। সয়াবিন, পাম অয়েল, সুগার ফার্ম প্রতিদিন কমতেছে। আর মিলগুলো থেকে পর্যাপ্ত চিনি না আসার অজুহাতে পাইকারি পর্যায়ে কেজি প্রতি চিনির দাম বেড়েছে ৪৫ পয়সা। মেসার্স আলতাফ এ্যান্ড ব্রাদার্স মালিক আলতাফ এ গফফার বলেন, ‘গত সপ্তাহে চিনির দাম ৫১ টাকা ছিল কেজি, আর এখন ৫১.৪৫ পয়সা হয়ে গেছে। পরিবহনের কারণে এ দাম বৃদ্ধি।’ এ দিকে গত পাঁচ দিনের বেশি সময় ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটে আটকা পড়ছে পণ্যবাহী গাড়িগুলো। এ অবস্থায় দাম বাড়ছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। মেসার্স হাজী অছি উদ্দিন সওদাগর মালিক মোহাম্মদ রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন ২০-২৫ গাড়ি পেঁয়াজ দরকার সেখানে আসতেছে ৭-৮ গাড়ি। ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী নেতারা মহাসড়কের যানজটকে দুষলেও এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখছেন ক্যাব নেতা। ট্রেড এ্যাসোসিয়েশন সৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে, অন্যথায় সারা দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজারে একটা সমস্যার সৃষ্টি হবে। ক্যাব সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘কোন অজুহাত দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে দাম বৃদ্ধি করার পায়তারাকে আমরা অপরাধ মনে করি।’ খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ৭ থেকে ৮ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল এবং ৯ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ছোলা বিক্রি হয়
×