ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেলিযোগাযোগের সেবা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ॥ মোস্তফা জব্বার

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৮ মে ২০১৮

টেলিযোগাযোগের সেবা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ॥ মোস্তফা জব্বার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাক্সিক্ষত সেবা ও গুণগত মান নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যে মানের সেবা পাওয়ার কথা গ্রাহক সেই মানের সেবা পাচ্ছেন না। যদি ভাল সেবা না দেয়া যায় তাহলে সম্ভাবনাময় এই সেক্টরটি পিছিয়ে পড়বে। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। টেলিযোগাযোগ সেবায় নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জনগণের কাছে টেলিযোগাযাগ ও তথ্যপ্রযুক্তিকে যেভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি সেটা গর্ব করার মতো। কিন্তু এটিও বাস্তবতা আমার মন্ত্রিত্বকালীন সময়ে যার কাছে গিয়েছি, যখনই গিয়েছি, তখনই তারা টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। যে পরিমাণ সেবা তাদের কাছে পৌঁছানো উচিত ছিল, আমাদের সেবার যে গুণগত মান থাকা উচিত ছিল, সে জায়গাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে। আমাদের এখান থেকে বের হতে হবে। এখন আমাদের একটি স্যাটেলাইট রয়েছে। টেলিযোগাযোগ সেবার মান হবে বিশ্বমানের মতোই। দেশে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে। কিন্তু সেবার মান বাড়েনি। গ্রাহকরা উচ্চমূল্যের পাশাপাশি ইন্টারনেট ধীরগতি, নেটওয়ার্ক সমস্যা, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ও ব্যবহারের চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেয়াসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করে আসছে গ্রাহকরা। এখান থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, কেবলমাত্র সংখ্যার দিকে তাকালে হবে না। গুণগত মানের দিকে তাকাতে হবে। জনগণকে তার হাতিয়ার হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগকে ব্যবহার করার সব সক্ষমতা দিতে হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ দেশের সব ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড সংযুক্ত হচ্ছে। পৃথিবীর অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করবে। ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ফাইভ-জি চিপ বাজারে আসছে। আমাদের মনে রাখতে হবে মোবাইলের যাত্রার সময় পিছিয়ে ছিলাম, থ্রিজি ও ফোর-জিতে পিছিয়ে ছিলাম। আমাদের অনুভব করতে হবে ফাইভ-জি নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাতে না পড়ি। সারা পৃথিবী যখন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ তখনই আমাদেরও নতুন প্রযুক্তিতে চলে যেতে হবে।
×