ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারীরা সচেতন থাকলেই দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৭ মে ২০১৮

নারীরা সচেতন থাকলেই দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বামীদের আয়ের উৎস সম্পর্কে সচেতন থাকতে স্ত্রীদেরকে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। স্বামীর করা পাপে যেন কোন স্ত্রীকে সাজা ভোগ করতে না হয় তাই তাদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে নারীরা সচেতন থাকলেই সমাজের দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলেন তিনি। রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটি কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান পরামর্শগুলো দেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় ও সম্পদের পারিবারিক দায়, নারীর ভূমিকা, ঝুঁকি ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের আবাসিক পরিচালক ফারাহ কবীর নারী নেত্রী খুশি কবীর, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে স্ত্রীদের প্রতি দুদক চেয়ারম্যান ৫টি পরামর্শ মেনে চলার অনুরোধ করেন। তা হচ্ছে স্বামী অর্থ কিভাবে উপার্জন করলেন তা জিজ্ঞেস করতে হবে, দ্বিতীয়ত, নিজেকে সচেতন হতে হবে, তৃতীয়ত, অনাহুত ভিকটিম হবেন না, চতুর্থত, ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ফরমে কিসের এ্যাকাউন্ট না জেনে স্বাক্ষর না করা এবং সর্বশেষ কোন প্রকার অর্থ লেনদেন বা ব্যাংক চেক বা চেকের পাতায় না জেনে স্বাক্ষর করবেন না। তিনি বলেন, আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে অবৈধ, বেআইনি সম্পদ স্ত্রীর নামে গড়েন স্বামীরা। এতে মামলা হলে ফেঁসে যান নির্দোষ স্ত্রীও। তাই স্বামীর অপকর্ম এবং অনৈতিক কর্মকা- থেকে রেহাই পেতে তাদের এই পাঁচটি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সাবেক এক সহকর্মীর উদাহরণ দিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, বহু লোক কিন্তু সমাজে আছে, বউয়ের ভয়ে দুর্নীতি করেন না। নারীরা সচেতন হলে সমাজে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। স্ত্রীর বাধার কারণে ওই সহকর্মীর ঘুষের টাকা বেহাত হয়ে গিয়েছিল বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, শুধু নারী কর্মকর্তাদের অসচেতনতার কারণে দুর্নীতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন অনেক নারী। এজন্য নারীদেরকে স্বামীদের দুর্নীতি ঠেকানোর পাশাপাশি নিজেরা যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দুদকে দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, একটি মাত্র ক্ষেত্রে নারীটি জানেন তিনি কাজটি (দুর্নীতি) করেছেন। আর আমি কোন নারীকে বলতে শুনি নাই, আমি জানতাম। আমরা নারীদেরকে যদি সচেতন করতে পারি যে আপনারা অনাহুতভাবে ভিকটিম হবেন না। এ পর্যন্ত নারীদের বিরুদ্ধে দুদকের ১শ ১৮টি মামলার ক্ষেত্রে ওই পরিস্থিতি হয়েছে।
×