ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাসাসের আলোচনায় -ড. মোশাররফ

গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে মাঠে সেনাবাহিনী থাকলে সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন । ড. মোশাররফ বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জন্য বড় পরীক্ষা। তারা এই নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষভাবে করতে পারে সেটি দেখবে জনগণ। তারা যদি এই দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন না করতে পারে তাহলে প্রমাণিত হবে তাদের দিয়ে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ রগ কাটা পার্টিতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করে ড. মোশাররফ বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজনের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগের এক নেত্রী। আন্দোলনের মুখে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারও করেছে। অথচ তাকে আবার ফুল দিয়ে বরণ করে দলে ফেরানো হয়েছে। এই রগ কাটাকে উৎসাহিত করতে আওয়ামী লীগ নেতারা ছাত্রলীগের ওই নেত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়েছিল, নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যে যৌক্তিক তা প্রমাণিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে কোটা পদ্ধতি তুলে নেয়ার মাধ্যমে। তাই এই আন্দোলনের পর কোন মামলা থাকতে পারে না। যাদের নামে মামলা হয়েছে আমি অবিলম্বে তাদের নামে করা সকল মামলা তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে অনেক আগে দাবি জানিয়েছিলাম প্রতিবন্ধী, নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছাড়া আর কাউকে কোটা দেয়া যাবে না। ছাত্রদেরও একই দাবি। তাই আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছি। মোশাররফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা চেয়েছিল কোটা সংস্কার করা হোক। কোটা ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হোক। কিন্তু কোটা সংস্কার না করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায় ক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দিলেন। তিনি বলেন, আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী আসলেই কোটা বাতিল বা সংস্কার চান কিনা, তা আমরা বিশ্বাস করব না। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কণ্ঠশিল্পী মনির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম প্রমুখ। খালেদার মুক্তি ও শেখ হাসিনার পতন একসঙ্গে হবে- রিজভী ॥ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন একসঙ্গে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, আপনাদের সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই আর বেশি সময় নেই, তাই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে জনগণ আর অপেক্ষা করবে না। জনগণের আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং শেখ হাসিনার পতন একসঙ্গে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনের বিজয় অতি সন্নিকটে। বন্দুকের জোরে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে দমিয়ে রাখা যাবে না। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছেন জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলতে চাই, আপনি কি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন? আপনি তো নিজের ভোটও নিজেকে দেননি। দেশ পরিচালনা করতে আপনাদের তো জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না। তাই আপনাদের মুখে জনগণের নিকট ভোট চাওয়ার কথা রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। রিজভী বলেন, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বুধবার বিএনপি দলীয় আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি আইনজীবীদের বলেছেন তারা যেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে দেশের জনগণ, দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, আসাদুল করিম শাহীন ও তাইফুল ইসলাম টিপু।
×