স্পোর্টেস রিপোর্টার ॥ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেকটা ভাল হলো না কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। ৩.৫ ওভার বল করে ১ উইকেট নিলেও রানের (৩৯) খরচাটা একটু বেশিই হয়ে গেছে। নিজের এবং ইনিংসের শেষ ওভারে প্রথম ৩ বল ডট দিয়ে যে তকমাটা দেখিয়েছিলেন, সেটা তামাদি হয়ে যায় পরের দুই বলে ছক্কা আর চার খেয়ে। কেদার জাদবই মুস্তাফিজকে এই ক্যাচকা মারটা দিয়ে মুম্বাইয়ের হাতের মুঠো থেকে কেড়ে নিলেন জয়। ১ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয়ে যাত্রা করল চেন্নাই সুপার কিংস। যদিও কাজের কাজটা আগেই সহজ করে দিয়েছিলেন ব্রাভো।
টস জিতে মুম্বাই প্রথমে ব্যাট করে ১৬৫ রানের মামুলি টার্গেট ছুড়ে দেয় প্রতিপক্ষকে। মামুলি এই অর্থে আইপিএলের মতো এত বড় মঞ্চের আসরে এই রান খুব একটা আশা জাগানোর মতো নয়। তারপরও ম্যাচটা এক পর্যায়ে হাতের মুঠোয় নিয়ে নিয়েছিল মুম্বাই। কিন্তু ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ব্রাভোর ৩০ বলে ৬৮ রানের অসাধারণ ইনিংস সাজঘরে পিনপতন নীরবতায় আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেয় মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মুখে। ১ উইকেটের দুর্দান্ত জয় (১৬৯ রান), তাও আবার এক বল বাকি থাকতেই। এই ম্যাচ দিয়েই মুম্বাইয়ে গতকাল পর্দা ওঠে আইপিএলের। অর্থাৎ দারুণ হয়ে অসাধারণ শুরু ফিক্সিংয়ে নির্বাসিত থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের।
বলতে গেলে এক ব্রাভোর কাছেই হেরে গেল মুম্বাই। শেষ তিন ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৪৭ রান। এই অসম্ভবকেও সম্ভব করে ফেলেন ব্রাভো। ১৮ এবং ১৯তম ওভারে ২০ রান করে নেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৭ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। কিন্তু শেষ ওভার করতে এসে মুস্তাফিজ প্রথম তিন বল ডট দিলেও চতুর্থ বলে ছয় খেয়ে বসেন চেন্নাইয়ের শেষ ব্যাটসম্যান জাদবের কাছে। মুস্তাফিজের করা পঞ্চম বলে চার মেরে দলকে স্মরণীয় এক জয় এনে দেন ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা জাদব।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভারেই চেন্নাইয়ের ওয়াটসনকে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা সুরেশ রায়নাকেও বিধ্বংসী হওয়ার আগে ফেরান এই পান্ডিয়াই। এক পর্যায়ে দশ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে মোটে ৫৬ রান তোলে চেন্নাই। মুস্তাফিজ যখন জাদেজাকে ১২তম ওভারে আউট করেন তখনও চেন্নাইয়ের দরকার ৮ ওভারে ৯১ রান। কিন্তু ক্রিজে যে ব্রাভো রয়েছেন তখন! শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো মুম্বাইয়ের জন্য। ৩০ বলে সাতটা ছক্কায় ৬৮ রানের এক ধুমধারাক্কা ইনিংস খেলে উদ্ভাসিত জয় এনে দিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: