ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৩ এপ্রিল ২০১৮

রাবিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব শুরু

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগ এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ণিল আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবন চত্বরে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। নট্যকলা বিভাগের সভাপতি ড. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, বাংলাদেশ শিল্প একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, রাবি অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের সভাপতি ড. সোমনাথ সিনহা প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দুই দেশকে গভীর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এ বন্ধন অটুট রাখতে সুসময়ে ও দুঃসময়ে সবসময় ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। শ্রিংলা আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতিগত বেশ মিল রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনারাও যুদ্ধ করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতীয় অনেকেই রক্ত দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বলেন, বর্তমানে সমাজের অগ্রভ্রমণ আটকা পড়ে আছে। যখনই সমাজ অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, তখনই সমাজের টুটি চেপে ধরতে ধেয়ে আসছে অপশক্তি। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বিদ্যমান। দুইটি জাতীর পরস্পরের মধ্যে শিক্ষা, সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি ও মানুষে-মানুষে সম্পর্ক ও সৌহার্দ্যরে বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করবে এ ধরনের সাংস্কৃতিক আদান প্রদান। উৎসবের প্রথম দিন ভারতীয় নাট্যকার শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জয় জয় ভানু জয় জয়দেব’ মঞ্চস্থ হয়। সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ১৩টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এবং সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নাটকগুলো মঞ্চস্থ হবে। আগামী ৭ এপ্রিল উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে উদ্বোধন শেষে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উৎসবে অংশগ্রহণকারী নাট্যকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। প্রসঙ্গত, সাত দিনব্যাপী আয়োজিত এ নাট্যোৎসবে ভারত থেকে অশোকনগর নাট্যমুখ, লোককৃষ্টি, শ্রুতি পারফরমিং ট্রুপ এবং বাংলাদেশ থেকে বটতলা, প্রাচ্যনাট্য, সুবচন নাট্যদল, অনুশীলন নাট্যদল, ঢাকা থিয়েটার, লোক নাট্যদল, উত্তরাধিকার, মণিপুরি থিয়েটার, বাংলাদেশের পুতুলনাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ অংশ নিচ্ছে।
×