ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের মার্কেটগুলোতে বাহারি পোশাক

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২ এপ্রিল ২০১৮

 বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের মার্কেটগুলোতে বাহারি পোশাক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ ॥ পহেলা বৈশাখের বাতাস বইতে শুরু করছে কেরানীগঞ্জের তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। দিনরাত চলছে বৈশাখীর জামা-কাপড় তৈরির মেশিনগুলো। নাওয়া-খাওয়া ভুলে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছে বৈশাখীর পোশাক। ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর ৮ কোটি বৈশাখী জামা তৈরি হয়েছে কেরানীগঞ্জে। উৎপাদিত এ সকল জামার শতকরা ৯৫ ভাগ তৈরি হচ্ছে বৈশাখী মৌসুমকে ঘিরে। তৈরির পর ওই সব পোশাক ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের মার্কেট, বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলোতে শোভা পাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন মাস আগ থেকে ব্যবসায়ীরা তৈরি করছেন ওইসব পোশাক। ১লা বৈশাখ সন্নিকটে। বাঙালী জাতির অতীত ঐতিহ্য ও ঢাকাসহ সারাদেশের চাহিদা মিটিয়েও কিছু পোশাক বিদেশেও যাচ্ছে ইদানিং। ১লা বৈশাখের বাজারকে সামনে রেখে মার্কেট, বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পোশাকগুলো। কেরানীগঞ্জে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা বলেন, পাঞ্জাবি-ফতুয়ার মতো এ জামাগুলো ১২ মাস তৈরি হয় না। ১লা বৈশাখ শুরু হওয়ার ৩ মাস আগে থেকে তৈরি করা হয় এই পোশাকগুলো এবং চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়। খুচরা বিক্রেতারাও অনুরূপ বেচা-কেনা করে। তাদের ধারণা, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা অধিক বিক্রির আশা করছেন। ইসলাম প্লাজার নবরূপ পাঞ্জাবির মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি ৪০টি ভিন্ন ভিন্ন নামে বৈশাখী জামা তৈরি করেছেন। তার তৈরি জামা অধিকাংশ শিশু ও কিশোরদের জন্য। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ তৈরি পোশাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ স্বাধীন বলেন, প্রতিবছর কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টসগুলোতে প্রচুর বৈশাখী জামা তৈরি হয় এবং সুলভ মূল্যে বিক্রি হয়।
×