ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবান থেকে যাওয়া ম্রো ও মারমাদের স্বাগত জানাল রাখাইনরা

রোহিঙ্গা ইস্যুর স্বাভাবিক সমাধান সুদূর পরাহত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২২ মার্চ ২০১৮

রোহিঙ্গা ইস্যুর স্বাভাবিক সমাধান সুদূর পরাহত

চট্টগ্রাম অফিস/স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত কি হবে- এর সবই এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্য থেকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও বিতাড়িত করার পর গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সমস্যা সমাধানে একচুলও এগোয়নি। এ পর্যন্ত যা করেছে সবই লোক দেখানো বলেই প্রতীয়মান। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চাপ উপেক্ষা করতে মিয়ানমার সরকার আইন পাসের উদ্যোগ নিয়ে ভিন্ন আদলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসবের মূল কারণ বিতাড়িত রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফেরত যেতে না পারে। এদিকে, বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকা মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পাড়া থেকে লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া উপজাতি ম্রো ও মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন ইতোপূর্বে মিয়ানমারের বাসিন্দা ছিল বলে জানা গেছে। মিয়ানমারের মংডু শহরে পৌঁছানোর পর এসব উপজাতি পরিবারকে স্বাগত জানিয়েছে রাখাইনরা। সেখানে তৈরি করা দোচালা ঘরে তাদের স্থান করে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে দীর্ঘ সময় আগে কিছু মারমা ও ম্রো লোকজন বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। এ সুবাদে স্থানীয় পাড়া কারবারি ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ওইসব উপজাতীয় সদস্যরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা ওই জমি-ভিটা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়।
×