ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

গৌতায় বোমাবর্ষণ চলছে হুমকিতে ত্রাণ সরবরাহ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১১ মার্চ ২০১৮

গৌতায় বোমাবর্ষণ চলছে হুমকিতে ত্রাণ সরবরাহ

সিরীয় ছিটমহল পূর্ব গৌতায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও ক্ষুধার্তদের মধ্যে একটি ত্রাণবহরের খাদ্য বিতরণের একদিন পর সৈন্যরা অব্যাহতভাবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। খবর এএফপির। রুশ-সমর্থিত সরকারী সৈন্যরা ১৮ ফেব্রুয়ারি দামেস্কের কাছে বিরোধীদের সর্বশেষ ঘাঁটি পূর্ব গৌতায় এক ব্যাপক আক্রমণ অভিযান শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯শ’ ৫০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। পূর্ব গৌতায় ৪ লাখ অধিবাসী ২০১৩ থেকে সরকারী অবরোধে বাস করছে। এ ছিটমহলে রয়েছে অগণিত সশস্ত্র গ্রুপের অবস্থান। সিরীয় সৈন্যরা গত তিন সপ্তাহে ছিটমহলের অর্ধেকের বেশি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জইশ আল-ইসলামের মতো ইসলামপন্থী গ্রুপগুলো ছাড়াও হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএম) জিহাদীরাও এখানে অবস্থান করছে। এ গ্রুপটির সম্পৃক্ততা রয়েছে আল-কায়েদার সঙ্গে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, ১৩ যোদ্ধা ও পারিবারিক সদস্যবোঝাই একটি বাস ছিটমহল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। সিরীয় অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, জিসবিনে বেসামরিক নাগরিকরা শুক্রবার এ সংঘাতের কারণে মারাত্মক পরিস্থিতিতে ছিল। এলাকায় বিমান হামলায় ওই দিন অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি বলেছে, ১৩টি ট্রাক ২ হাজার ৪শ’ খাদ্য পার্সেল নিয়ে ইতোমধ্যে পূর্ব গৌতায় পৌঁছেছে। কিন্তু ছিটমহলের প্রধান শহর দুমার কাছে বোমাবর্ষণ চলায় আইসিআরসি, সিরীয় আরব রেডক্রিসেন্ট ও জাতিসংঘ কনভয় ঝুঁকির হুমকিতে পড়েছে। সিরিয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সমন্বয়কারী আলী আল-জাতাবি এ কথা বলেছেন। ওপরে হেলিকপ্টারের প্রহরায় ত্রাণ সরবরাহ করা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সিরিয়ায় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে চিকিৎসা স্থাপনায় ৬৭ বার আঘাত হানা হয়েছে। এগুলোর প্রায় অর্ধেক আঘাত হেনেছে পূর্ব গৌতায়। স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০টি হাসপাতাল, ১৬টি স্বাস্থ্যস্থাপনা, ২টি এ্যাম্বুলেন্স স্টেশন ও একটি ওষুধ সরবরাহের গুদামঘর। চিকিৎসকরা বলেছে, ছিটমহলে জীবন বাঁচানোর বেশ কিছু দ্রব্য সামগ্রী শেষ হয়ে গেছে। এখানে চিকিৎসা এক ভয়ানক বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। মেডিক্যাল অবকাঠামো হামলার শিকার হয়েছে। স্টাফ সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। শত শত লোক আহত হচ্ছে। তাদের জন্য জরুরী সহযোগিতার প্রয়োজন।
×