সন্ত্রাসবাদ নয়, মুক্ত আলোচনাই সমাধান ॥ ইউজিসি চেয়ারম্যান

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, বর্তমানে সারাবিশে^ ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না, মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগ ও ‘দি ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স এ্যান্ড কালচার, তুর্কী’র যৌথ উদ্যোগে প্রথম আন্তর্জাতিক নূরসী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন। ‘লিভিং ইন পিচ এ্যান্ড হারমনি : দি রিসালা-ই নূর পারসপেক্টিভ’ প্রতিপাদ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করাই ছিল নূরসীর আদর্শ। এখন ধর্মের নামে মানুষ করা হয়। বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের ইন্ধনে আইএস মুসলিম হয়েও মুসলিম হত্যা করছে। আমাদের এ ধরনের সন্ত্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, ইসলামের শান্তি ও সংহতির দর্শন প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। ধর্মীয় গোঁড়ামি কিংবা চরমপন্থার কোন অস্তিত্ব বাংলাদেশে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেয় না। সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান। আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউছুফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তুরস্ক বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য এবং তুরস্কের উসকুদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলপার্সলান একচিগেন্স। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘দি ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স এ্যান্ড কালচার’-এর পরিচালক সেইট ইউসি এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম অজতুর্ক, ঢাবি কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ সাজাহান মিয়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের আলিয়াহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউর রহমান, আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ড. এলমাইরা আখমেতোভা, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. সাঈদ ফরিদ আলআতাস এবং তুর্কীর প্রফেসর ড. ইসহাক অজগেল। সম্মেলন শুরুতে বদিউজ্জামান সাঈদ নূরসীর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের মহাসচিব ড. আব্দুল্লাহ আল-মারূফ। এই সম্মেলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন ‘দি ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স এন্ড কালচার, তুর্কীর সমন্বয়ক ড. হাকান গোলরজ। বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও গবেষকরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশী-বিদেশী সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ তাদের জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।