ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১২ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১২ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সবসূচক কমেছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন ও হাত বদল হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে ১২ শতাংশ কমেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জন্য নতুন মুদ্রানীতিকে কেন্দ্র করে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা অস্থিরতা বেড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে গত সপ্তাহের বাজারে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি রেশিও কমানোর নির্দেশনা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারাধীন মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কাতে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নতুন বিনিয়োগ থেকে বিরত রয়েছে। সবমিলে একটি অস্থির সপ্তাহ পার করেছে শেয়ারবাজার। তবে সংশ্লিষ্টরা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা গেছে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৭৩ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৫ টাকা বা ১২.১৭ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৪৬ কোটি ৭১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪ টাকা। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক সপ্তাহে ১৯৪.৩৬ পয়েন্ট বা ৩.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০২১ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ৩৪.৩৮ পয়েন্ট বা ২.৪০ শতাংশ কমে ১৩৯৭ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ৭৬.৭৭ পয়েন্ট বা ৩.৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২২২৭ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছে ৩৩৮টি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ২৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩৭ পয়েন্ট বা ২.৮০ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১৮৬২৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৩২২ পয়েন্ট বা ২.৭৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৪৪ পয়েন্ট বা ৩.০১ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪০৪ পয়েন্ট বা ২.৩২ শতাংশ এবং সিএসআই ৩২ পয়েন্ট বা ২.৪৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২৪৯, ১৪১০, ১৬৯৫৯ ও ১২৪৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ২৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, ইফাদ অটো, মুন্নু সিরামিক, লঙ্কাবাংলা ফাইনান্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিডি ফাইনান্স। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মুন্নু সিরামিক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু জুট স্টাফলার, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট, আমরা নেটওয়ার্ক, হা-ওয়েল টেক্সটাইল ও নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ন্যাশনাল পলিমার, লঙ্কাবাংলা ফাইনান্স, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, জিকিউ বলপেন, বিবিএস, সেন্ট্রাল ফার্মা, মাইডাস ফাইনান্স, সায়হাম টেক্সটাইল, শাহজিবাজার পাওয়ার ও শাইনপুকুর সিরামিক। আর সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে ২৪৪ কোটি ৭২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১১৫ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার ৫৭০ টাকা বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ২৯৮ টাকার।
×