ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেধাস্বত্ব চুরি ও শিল্পে ভর্তুকি বন্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের অন্যায্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

চীনের অন্যায্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে এক আত্মপ্রত্যয়ী ও আগ্রাসী অবস্থানের কথা প্রচার করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতি দিয়ে বিশ্ব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমরা আর চীনের মতো রাষ্ট্রগুলোর লুণ্ঠনমূলক বাণিজ্য চর্চার শিকারে পরিণত হতে চাই না। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইনের। গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ট্রাম্প বলেন, আমাদের কৌশল ‘আমেরিকা সবার আগে’। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা বিচ্ছিন্ন, আমেরিকা একা। এই নীতির বদৌলতে বিশ্ব এখন শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ আমেরিকার উত্থান দেখতে পাচ্ছে। ব্যাপক মেধাস্বত্ব চুরি, শিল্পে ভর্তুকি ও অনুপ্রবেশ সহায়ক রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনাসহ সব ধরনের অন্যায্য অর্থনৈতিক চর্চার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আর চোখ বন্ধ রাখবে না। তিনি বলেন, এই ধরনের লু-নপরায়ন আচরণ বিশ্ব বাজারকে বিকৃত করছে। ব্যবসা ও কর্মীদের ক্ষতির মুখে ফেলছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বিশ্বব্যাপী এই প্রচলন রয়েছে। চলতি সপ্তাহে চীনের তৈরি সৌরবিদ্যুতের প্যানেল ও ওয়াশিং মেশিনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেজিং এই উদ্যোগের কঠোর সমালোচনা করেছে। গত গ্রীষ্মে রবার্ট মুলারকে বিশেষ কৌঁসুলির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে খবর রটেছে, সেটাকে ভুয়া বলে অস্বীকার করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার আত্মবিশ্বাস যে কোন সময়ের চেয়ে উর্ধে। তিনি হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পর চব্বিশ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন বলে দাবি করেন। বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ব্যবসায়ের জন্য আমেরিকা উন্মুক্ত। আমরা আবারও প্রতিযোগিতার জগতে ঢুকে পড়েছি। তার দাবি, পূর্বসূরি বারাক ওবামার জলবায়ু নীতিমালা থেকে বেরিয়ে আসায় দেশের ব্যবসাপাতিতে উন্নতি ঘটেছে। তিনি বলেন, পরোক্ষ কর আদায়েও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
×