ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশের ডাক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশের ডাক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে এবার সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশের ডাক দিয়েছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসন ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করাসহ পাঁচ দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বাসদ), বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র সমিতি, ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় ছাত্র ঐক্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ঘোষিত তিন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, ৩১ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশ, ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন। কমিটি গঠন করার পর তদন্ত চূড়ান্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে হবে, সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা ও ঘটনার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পরিবেশ পরিষদ চালু করা, অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম সুমন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। লিখিত বক্তব্যে সুমন বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি অধিভুক্ত সাত কলেজের বাতিলের বিষয়ে কিছুসংখ্যক ছাত্রের আন্দোলন পরে কতিপয় নামধারী আন্দোলনকারী ছাত্র সংগঠন উপাচার্যের অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই সব ঘটনার ফলে ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অপ্রীতিকর ও ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। কতিপয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তাকে লাঞ্ছিত করে। এ খবর পেয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যকে উদ্ধার করতে সেখানে গেলে আন্দোলনরত কতিপয় ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় এবং দফায় দফায় তাদের ওপর হামলা করে ও ছাত্রীবোনদের ওপর নির্যাতন চালায়, যা খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, ছাত্রলীগ (বিসিএল) সভাপতি শাহজাহান আলী সাজু, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউনুস সিকদারসহ অন্যরা।
×