ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে সিমোনা-ওজনিয়াকি

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

ফাইনালে সিমোনা-ওজনিয়াকি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রত্যাশিতভাবেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি এবং সিমোনা হ্যালেপ। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা ওজনিয়াকি বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে ৬-৩ এবং ৭-৬ (৭/২) গেমে পরাজিত করেন বেলজিয়ামের এলিস মার্টেন্সকে। দিনের আরেক সেমিফাইনালের কঠিন লড়াইয়ে রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ ৬-৩, ৪-৬ এবং ৯-৭ গেমে হারান টুর্নামেন্টের সাবেক চ্যাম্পিয়ন এ্যাঞ্জেলিক কারবারকে। দুই তারকার সামনেই এখন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট জয়ের হাতছানি। সেই লক্ষ্যেই শনিবার শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন ওজনিয়াকি-হ্যালেপ। গত এক দশক ধরেই টেনিস কোর্টের আলোচিত নাম ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। টেনিস কোর্টে দারুণ লড়াই করে চলেছেন তিনি। কিন্তু মেজর কোন শিরোপার দেখা পাননি ডেনমার্কের এই তারকা খেলোয়াড়। তারপরও কখনই হাল ছাড়েননি। সবসময়ই আস্থা রেখেছেন নিজের ওপর। তারই প্রতিফলন দেখা গেছে গত বছর। দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে আটটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছেন তিনি। যার দুটিতে হেসেছেন চ্যাম্পিয়নের হাসি। টোকিও ওপেন জয়ের পর ওজনিয়াকি জিতেছেন ডব্লিউটিএ ফাইনাল যা তার ক্যারিয়ারেরই সবচেয়ে বড় ট্রফি। সেই ফর্ম ধরে রাখলেন নতুন বছরেও। অসাধারণ খেলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকেট কাটলেন তিনি। আর ২০১৪ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলার পর এটাই প্রথম। তাতে দারুণ রোমাঞ্চিত ড্যানিশ টেনিস তারকা। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বর্তমান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওজনিয়াকি বলেন, ‘এটা আমার কাছে অনেক কিছুই। আমি সবসময়ই নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। যেহেতু আমি অনেকবারই ইনজুরিতে পড়েছি তাই আমার কখনও কখনও খুব বাজে সময় কেটেছে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম ও মানসিক দৃঢ়তায় টিকিয়ে রেখেছে আমাকে। আমি জানতাম যদি শারীরিকভাবে ভাল থাকি এবং কঠোর পরিশ্রম করি তাহলে অবশ্যই কোর্টে সেরা পারফর্মেন্সটাই উপহার দিতে পারব।’ ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ওজনিয়াকির প্রতিপক্ষ এখন সিমোনা হ্যালেপ। শুধু গ্র্যান্ডস্লাম নয় রোমানিয়ান তারকাকে শনিবার হারাতে পারলে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও পুনরুদ্ধার করবেন ওজনিয়াকি। তাও আবার ছয় বছর পর। ফাইনালের আগে তাই ড্যানিশ টেনিস তারকা খুবই উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই খুব রোমাঞ্চকর। কেননা উভয়ই নাম্বার ওয়ানের জন্য লড়াই করতে যাচ্ছি। এর জন্য সত্যিই আমি খুব গর্বিত সেই সঙ্গে রোমাঞ্চিতও।’ ফাইনালে উঠার টিকেট কাটতে ওজনিয়াকির চেয়ে অবশ্য বেশি ঘাম ঝরেছে সিমোনা হ্যালেপের। কেননা এই টুর্নামেন্টের সাবেক চ্যাম্পিয়ন এ্যাঞ্জেলিক কারবারকে হারাতে হয়েছে তাকে। যিনি নতুন বছরের শুরুটা করেছিলেন সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালেই থেমে যেতে হলো জার্মান তারকাকে। ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট লড়াই করে স্টেফিগ্রাফের উত্তরসূরিকে হারিয়েছেন হ্যালেপ। এই তথ্যটাই বলে দিচ্ছে কতটা কঠিন ছিল শেষ চারের লড়াইটা। তা স্বীকার করেছেন শীর্ষ বাছাই হ্যালেপও, ‘নিশ্চিত কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। আমি এখনও কাঁপছি। এই ম্যাচটা জিতেছি তাই এখনও আমি রোমাঞ্চিত।’ এই জয়ের পর সমর্থকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হ্যালেপ। তিনি বলেন, ‘ম্যাচটা যে কঠিন হবে তা আগে থেকেই জানা ছিল আমার। কোর্টেও সে সব জায়গা থেকেই আঘাত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি খুব আনন্দিত এ কারণেই যে তাকে দারুণভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ।’ আর প্রতিপক্ষ হিসেবে ক্যারোলিন ওজনিয়াকির ব্যাপারে হ্যালেপ বলেন, ‘তাকে আমি অনেক সম্মান করি। আমরা দুজনই একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছি। তবে ম্যাচের আগের সময়টা ভালভাবে বিশ্রাম নিতে চাই। এখানে যেহেতু আমার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে তাই নিজের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করব।’
×