ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটার সৌন্দর্য ব্যানার ফেস্টুন, পোস্টারে ঢেকে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

কুয়াকাটার সৌন্দর্য ব্যানার ফেস্টুন, পোস্টারে ঢেকে যাচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৮ জানুয়ারি ॥ রাজনৈতিক নেতা আর জনপ্রতিনিধির পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুনে ঢেকে যাচ্ছে সাগরকন্যা কুয়াকাটার অপরূপ সৌন্দর্য। পর্যটকরা দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না কুয়াকাটার নৈসর্গিক দৃশ্যপট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে চোখের সামনে পড়ছে ব্যানার আর ফেস্টুন। দীর্ঘদিনেও এ অবস্থার নিরসন করা হয়নি। এসব ব্যানার- ফেস্টুন কিংবা পোস্টার অপসারণ না করায় কুয়াকাটার শূন্যপয়েন্ট থেকে সৌন্দর্যম-িত স্পটগুলো দেখতে গিয়ে পর্যটকরা ত্যক্ত-বিরক্ত। হতাশায় পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ সেখানকার সাধারণ মানুষ। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনলোভা দৃশ্যপট ছাড়াও কুয়াকাটায় রাখাইনদের জীবনযাত্রাসহ বিভিন্ন নিদর্শন দর্শনে আসেন প্রতিদিন হাজারও পর্যটক-দর্শনার্থী। এসব দর্শনে মুগ্ধ আগতরা। নিরাপত্তা আর প্রকৃতিপ্রেমী এসব মানুষ ভাললাগার উপলব্ধি থেকেই কুয়াকাটায় ছুটে যায়। চাহিদার তুলনায় আবাসন সঙ্কট প্রকট। তার মধ্যে কিছু অব্যবস্থাপনাও রয়েছে। ক্ষোভ রয়েছে আবাসিক হোটেলের ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে। তারপরও পর্যটকরা একটু বিনোদন কিংবা প্রকৃতি দর্শনে ছুটে আসেন কুয়াকাটায়। পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনায় কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র রূপদানে সরকার হাতে নিয়েছে মহা পরিকল্পনা। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে খুব শীঘ্রই নির্মাণ হচ্ছে পর্যটক পার্ক। যেখানে থাকছে কটেজ, সৈকতে সাঁতারের পর নারী পর্যটকদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য একাধিক কক্ষের ওয়াশরুম, একটি উন্মুক্ত মঞ্চ। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ তথ্য সরবরাহের জন্য থাকবে হেলপ ডেস্ক। বর্তমানে কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসহ জিরো পয়েন্টে অবাধে ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুনের অবাধ ব্যবহারের কারণে কুয়াকাটার সৌন্দর্য্যহানি ঘটছে। পর্যটক দম্পত্তি সাইফুল ইসলাম ও তামান্না খানম জানান, কুয়াকাটার অপার সৌন্দর্যে তারা মুগ্ধ। পরিবারের সবাই এ নিয়ে চারবার গিয়েছেন। কিন্তু দিনকে দিন ব্যানার, ফেস্টুনে হারিয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক রূপ। একই মন্তব্য পর্যটক খালিদ হোসেন, হাফিজ আহমেদসহ একদল শিক্ষার্থীর। তাদের মতামত, বিচসহ দৃষ্টিনন্দন সব এলাকায় পোস্টার ব্যানারের ব্যবহার কুয়াকাটার স্বার্থেই বন্ধ করা প্রয়োজন। কুয়াকাটার পৌর কাউন্সিলর শাহ-আলম বলেন, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনের সংস্কৃতি ছিল। আছে, থাকবে। তবে পর্যটন নগরী বিবেচনায় কুয়াকাটায় এর ব্যবহারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পর্যটক কুয়াকাটার প্রাণ। তারা বিরক্ত হয় এমন কাজ আমাদের পরিহার করা দরকার। পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার নজরে পড়ছে । এগুলো অপসারণে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান বলেন, সাইনবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
×