ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হালদায় সেতু নেই ॥ জীর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

হালদায় সেতু নেই ॥ জীর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ৮ জানুয়ারি ॥ বৃহত্তর ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন নারায়ণহাটের কাছে হালদা নদীতে কোন সেতু না থাকায় এলাকাবাসীর সাহায্যে তৈরি করা সাঁকো দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে রীতিমতো নদী পারাপার হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। ইউনিয়নের হাপানিয়া, উত্তর সুন্দরপুর, পিলখানা, সাপমারা, ভূজপুর জঙ্গলকইয়া, খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি যোগ্যাছোলাসহ অনন্ত ১৫ টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজারেরও অধিক লোকের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি সেতুর। উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের হালদা নদীর ওপর নির্মিত -৬০ মিটার এ গাছের সাঁকো দিয়ে এখন হাজার হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা। স্বাধীনতার পর থেকে বারে বারে সরকার পরিবর্তন হলেও পাল্টায়নি হাপানিয়ার বাঁশের সাঁকো। নারায়ণহাট বাজার সংলগ্ন হালদা নদীতে একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়ভাবে চাঁদা তুলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে তৈরি এ সাঁকো দিয়েই উল্লেখিত গ্রামের ৫০ হাজারও অধিক লোকের যাতায়াতের একমাত্র পথ এ বাঁশের সাঁকো। সেতু না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টির সময় এ দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। হাপানিয়া ও সাপমারা গ্রামের বদিউল আলম বলেন, এ এলাকা মূলত কৃষি নির্ভর। এখানে শাকসবজিসহ প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় নদীর পূর্ব-দক্ষিণ পাড়ের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময় মতো হাটে আনতে পারেন না। বাজারে নিয়ে যেতে গেলে ১৫-১৮ কিমি পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তাই স্থানীয় বাজারেই এসব কৃষিপণ্য কম দামে বিক্রি করে দিতে হয়। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বহু কৃষক। বাঁশ-গাছের সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে করে স্থানীয়রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। এ সাঁকোর পাশে হালদার পাড় ঘেঁষে অবস্থিত কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এম বেলাল উদ্দিন আকাশ বলেন, অত্র বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে, বর্ষাকাল আসলে তাদের পাঠদানে ব্যাহত হয় বেশি। গেল বর্ষায় এ সাঁকো দু বার ভেঙ্গে যাওয়াতে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে স্কুলে আসতে হয়েছে। এতে এখানে একটি সেতুর প্রয়োজন অতিব জরুরী। নারায়ণহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হারুন উর রশিদ জানান, গ্রামবাসীরা একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগের সীমা নেই। ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও সেতু তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দুল সালাম জানান, এলজিইডির অধীনে নারায়ণহাটে হালদা নদীর ওপর ৬০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
×