ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের শাস্তি চেয়ে কাস্টমস কর্মীদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

পুলিশের শাস্তি চেয়ে কাস্টমস কর্মীদের কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের অপসারণ দাবিতে বেনাপোল কাস্টম হাউসে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচীর সঙ্গে কর্মবিরতি পালনের কারণে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে। বেনাপোল কাস্টমস অফিসার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাঙ্গালী জানান, সরকারী অফিস ভাংচুর ও কাস্টমস অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ওসি ওমর শরীফসহ পাঁচ পুলিশকে অপসারণের দাবিতে রবিবার সারা দেশে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ, কর্মবিরতি পালন করছেন। হামলার সুষ্ঠু বিচার না হলে দেশজুড়ে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি। বেনাপোল কাস্টমস অফিসার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কাস্টমস অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপসারণ করা না হলে লাগাতার কর্মসূচী দেয়া হবে। আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন বিসিএস কাস্টমস এ্যান্ড ভ্যাট এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশে কাস্টমস এক্সাইজ এ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কাস্টমস এক্সসাইজ এ্যান্ড ভ্যাট তৃতীয় শ্রেণি নির্বাহী কর্মচারী সমিতি বলে জানান তিনি। রবিবারের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাঈদ আহম্মেদ রুবেল, খুলনা-যশোর-বেনাপোল কাস্টমস অফিসার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ বেনাপোল কাস্টম হাউজের তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাঈদ আহম্মেদ রুবেল ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিলে কাস্টম কর্মকর্তারা তাদের কর্মসূচী সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেন। উল্লেখ্য, ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভারত থেকে আসা দুই যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক কাস্টমস কর্মকর্তা আহত হন।
×