স্টাফ রিপোর্টার \ রাজধানীর শুক্রাবাদে রফিকুল হাসান রিমন (৪২) নামে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, নিহত রিমনের কানের দুই পাশে আঘাতের থেতলানো জখমের চিহ্ন, দুই চোখ ফোলা, হাতে ও পেটে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। আর ঘাড়ে লালচে দাগ ছিল। ডিসি জানান, এটি দেখে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড। ওখানে গিয়ে তার আত্মহত্যার কারণ পাইনি। দুই কারণ বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, নিহত রফিকুল হাসান রিমনের লাশের সঙ্গে তার গলার চেন ও সঙ্গে থাকা তিনটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। পেশাদার ছিনতাইকারীদের কবলে পড়লে গলার চেন এবং মোবাইল নিয়ে যেত। ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান জানান, সোমবার ভোরের দিকে শুক্রাবাদ এলাকা দশতলা নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলা বেজমেন্ট থেকে রফিকুল হাসান রিমনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। এসআই মাহবুবুর রহমান জানান, স¤প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রিমনের। তাদের ২ সন্তান। স্ত্রী থাকেন সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোডের একটি বাসায়। তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে রিমন সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দুই সন্তানকে স্ত্রীর কাছ নিয়ে ঘুরতে বের হন। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার পর সেখানে নামিয়ে দিয়ে রিমন চলে যান। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মোবাইল ফোন খোলা থাকলেও কল রিসিভ হচ্ছিল না। পরে পরিবারের লোকজন শনিবার নিউমার্কেট থানায় একটি জিডি করেন। সোমবার ভোররাতে শুক্রাবাবাদের ১৫ নম্বর কাঁচাবাজার এলাকার নির্মাণাধীন ওই ভবনে থেকে রিমনের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে দুই বন্ধু নিহত ব্যক্তিকে রিমন হিসেবে শনাক্ত করে।
পুলিশ জানায়, স¤প্রতি তিনি টুটুল নামে বন্ধুর সঙ্গে শুক্রাবাদের ওই নির্মাণাধীন ভবনের একটি ফ্ল্যাট কেনেন। এ নিয়ে বন্ধু টুটুলের সঙ্গে দ্ব›দ্ব চলছিল। এরই কারণে রিমন খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে এসআই মাহবুবুর রহমান জানান। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল সালাম জানান, রিমন নিখোঁজের ঘটনায় শনিবার তার বাবা খলিল উল্লাহ নিউমার্কেট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নম্বর ৯০১। জিডি হওয়ার পরপরই তারা তদন্ত শুরু করেছিলেন। এখন তার লাশ উদ্ধারের পরই ঘটনার মোড় ঘুরে গেছে। ঘটনাটি হত্যাকান্ড বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তার গলার চেন ও সঙ্গে থাকা মোবাইল খোয়া যায়নি। পারিবারিক বা অন্য কোন কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, নিহতের বাবার নাম মোঃ খলিল উল্লাহ। গ্রামের বাড়ি ল²ীপুর জেলার মনোহরপুর গ্রামে। তিনি উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়িতে থাকতেন।
গার্মেন্টস গুদামে অগ্নিকান্ড রাজধানী মালিবাগে একটি গার্মেন্টস গুদামে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় আবুল হোটেলের পাশে নিউ ফয়সাল গার্মেন্টসের গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
