ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চিয়াং কাইশেকের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চায় তাইওয়ান

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

চিয়াং কাইশেকের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চায় তাইওয়ান

তাইওয়ানে দ্বীপের সাবেক একনায়ক চিয়াং কাইশেকের প্রতি শ্রদ্ধা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ বিষয়ক প্রতীকগুলো ছেঁটে ফেলা হবে। আইন পরিষদের সদস্যরা দেশটির অতীতের কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতীকগুলো ছেঁটে ফেলার পক্ষে ভোট দিলে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। খবর এএফপির। মঙ্গলবার গৃহীত এ তথাকথিত ‘ট্রানজিশনাল জাস্টিস’ বিলটিতে বলা হয়েছে যে, স্ট্রিট ও স্কুলগুলোর পুনঃনামকরণ করা হবে এবং চিয়াংকাই শেকের ভাস্কর্যগুলো সরিয়ে ফেলা হবে। বলা হয়েছে, চিয়াংয়ের ‘হোয়াইট টেরর’ বা শ্বেত সন্ত্রাসের পুরো তদন্ত করা হবে। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত সময়ে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানে ‘শ্বেত সন্ত্রাস’ চালানো হয়। অন্যায়ভাবে যাদের কারাবন্দী ও মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে তাদের নাম এবং উদ্যোক্তাদের পরিচয় প্রকাশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছেন আন্দোলনকারীরা। বিলটিতে বলা হয়েছে যে, কর্তৃত্ববাদী শাসনের বৈধতা মুছে ফেলা উচিত। কারণ, ঐ শাসনে স্বাধিকার ও গণতন্ত্র লঙ্ঘিত হয়েছে। এ উদ্দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিদ্যালয়, সরকারী ভবন ও স্থানে ওই শাসনের যে কোন স্মারক প্রতীক প্রদর্শন নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রতীক ও নিদর্শনগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পুনঃনামকরণ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিলটিতে অনুমোদন দেবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়। জনতা চিয়াংয়ের প্রতিমূর্তিগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে নিয়মিত এবং তাইপেয়ের বাইরে তার সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে এখন শত শত লোক প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সাইয়ের বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) ২০১৬ সালের নির্বাচনে কুমিংটাংয়ের (কেএমডি) কাছ থেকে নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে চিয়াং শাসনের বৈধতার বিরুদ্ধে উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা করে আসছে। ১৯৪৭ সালের হত্যাকা-ে ২৮ হাজার লোক নিহত হয়েছে বলে মনে করা হয় এবং হত্যাকা- শ্বেতসন্ত্রাস অভিযানের সূচনা। ডিপিপি প্রথমবারের মতো শাসন পরিচালনা করে ২০০০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত। দলটি ঐ সময়েই চিয়াংয়ের সরকারী জীবনালেখ্য ক্রমান্বয়ে মুছে ফেলার পদক্ষেপ শুরু করে এবং দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দরের নাম পাল্টে ফেলে এবং ব্যাংক নোট থেকে তার ছবি তুলে নেয়। নতুন বিলটিতে কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতীকগুলো মুছে ফেলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
×