ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে সিইসি

সেনা মোতায়েন ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

সেনা মোতায়েন ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ৭ ডিসেম্বর ॥ আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এজন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন সিইসি। এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি । বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম নুরুল হুদা। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য বিএনপি প্রার্থীর দাবির জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে এমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোন প্রয়োজন নেই। সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়াই একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আমরা প্রস্তুত। তিনি বলেন, রসিক নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২ হাজার ২৩১ জন পুলিশ এবং ৫১৫ জন আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য মোতায়েন থাকবে। শুক্রবার থেকে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রসিকের নির্বাচনী মাঠের কাজে মনিটরিং করছেন। এই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং র‌্যাব ও বিজিবির আলাদা টিম কাজ করবে নির্বাচনী মাঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সদস্য ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোট গ্রহণের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ের জন্য ভোটকেন্দ্র ছাড়াও ভোটকেন্দ্রের বাইরে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, স্ট্যান্ডবাই ফোর্স, মহাসড়কে রণপাহারা, চেকপোস্ট, সেক্টর ডিউটিসহ বিভিন্ন শিরোনামে এসব দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে একটি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে ইভিএম নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনও গ্রহণ করা হয়নি। কে এম নূরু হুদা আরও বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার হলে প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নজরদারি করছে। নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে কালো টাকা ব্যবহারের তথ্য পেলে প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন নিয়ে সঠিক তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করার জন্য তিনি সংবাদকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার সুভাষ চন্দ্র সরকার, জেলা প্রসাশক ওয়াহিদুজ্জামন ও জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
×