ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, হিমালয় অঞ্চল থেকে আগত শীতল বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ বায়ু সর্বপ্রথম উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে বলে দেশের উত্তর দিকে সবার আগে শীতের তীব্রতা দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। কিন্তু এ বছর দেশের মধ্যাঞ্চলে উত্তরে হাওয়ার বিস্তারলাভে যেন বেগ নেই। আমেজ শুরু হলেও শীতের তীব্রতা নেই বললেই চলে। আর বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঢাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে না। রবিবারও ঢাকায় আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ। আবহাওয়াবিদরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে হারে হ্রাস পাচ্ছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে ধীর গতিতে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যতই হ্রাস পাবে, শীতের তীব্রতা ততই বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য গড়ে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। উত্তরাঞ্চলে মাঝারি ধরনের শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাম এলাকায় শীতের তীব্রতা যেন একটু বেশি। রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দেশের সর্বত্র ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গ্রামাঞ্চলের নদীর কিনারায়, বিস্তীর্ণ বিল ও বনের ধারে কুয়াশার মাত্রা বেড়েই চলেছে। গত বছর নবেম্বরের শেষ দিকে দেশে সৃষ্টি হয়েছিল নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়। তাই শীত অনুভূত হয়েছিল নবেম্বরেই। এ বছর তা দেখা যাচ্ছে না। তবে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে দু’টি মৃদু / মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
×