ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলেসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলেসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১ ডিসেম্বর ॥ ঈশ্বরদীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৩ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমালকে প্রধান আসামি এবং উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা হয়েছে (মামলা নং ৭০)। ডিবিসি নিউজের পাবনা প্রতিনিধি পার্থ হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। বুধবার গভীররাতে এ মামলা হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার না করায় সাংবাদিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টের সৃষ্টি হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন ঘটনার মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রধানমন্ত্রীর রূপপুরের কর্মসূচীতে রাষ্ট্রীয় কাজে সব পুলিশ ব্যস্ত থাকায় আসামিদের গ্রেফতার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। যে কোন সময় আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। ভূমিমন্ত্রীর ছেলের নেতৃত্বে একদল যুবক বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সম্পাদক এ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদুর প্রচার গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালানোর সময় ছবি তুলতে গেলে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে ২৫/৩০ যুবক সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং বিডি নিউজ প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ, এটিএন নিউজ এবং পরিবর্তন ডটকমের প্রতিনিধি রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি পার্থ হাসান ও ক্যামেরাপার্সন মিলন হোসেন আহত হন। তাদের মধ্যে সময় টিভির প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ ও এটিএন নিউজের প্রতিনিধি রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়কে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে কর্মরত সাংবাদিকরা কালো ব্যাজ ধারণসহ ৩ দিনের কর্মসূচী পালন করছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ মে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার হন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর ছেলে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ ছাত্র ও যুবলীগ নেতাকর্মী। ওইদিন ভূমিমন্ত্রীর ছেলের নেতৃত্বে মুখ বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে ঈশ্বরদী বাজারের ফুড জংশন, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার ভাংচুর করা হয়। এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা যোবায়ের বিশ্বাস ও আরিফুলের বাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আরও পৃথক দুটি মামলা হয়। এ সব মামলায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলে ২৮ দিন জেল হাজতে ছিলেন পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
×