ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোর থেকে নিখোঁজ ধর্মযাজক রোজারিও সিলেটে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

 নাটোর থেকে নিখোঁজ ধর্মযাজক রোজারিও সিলেটে  উদ্ধার

বিডিনিউজ ॥ নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর নাটোরের ধর্মযাজক ওয়াল্টার উইলিয়াম রোজারিওকে সিলেটে একটি বাস কাউন্টার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ টিম ও নাটোর জেলা পুলিশ তাকে সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট থেকে উদ্ধার করে।’ তবে যাজককে এখন ঢাকায় নাকি নাটোরে - কোথায় নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। সিলেট মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার বেলা ২টায় কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে ওয়াল্টারকে পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ২টার দিকে পুলিশ শ্যামলী কাউন্টারে এসে সেখান থেকে ওয়াল্টারকে নিয়ে যায়। প্রথমে দক্ষিণ সুরমা থানায় নেয়া হলেও বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ওই ধর্মযাজককে নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ঢাকার পথে রওনা হন। ওয়াল্টার কীভাবে সিলেট গেলেন জানতে চাইলে নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল হাই বলেন, ‘আপনারা যা শুনেছেন আমরাও তাই শুনেছি। এ বিষয়ে কথা বলতে ওপর থেকে নিষেধ আছে। আমরা পরে বিস্তারিত জানাব।’ ৪২ বছর বয়সী ওয়াল্টার নাটোরের বনপাড়া পৌরশহরের মিশনপাড়ার সিলভেস্টার রোজারিওর ছেলে। সোমবার বিকেলে তিনি নিখোঁজ হন বলে তার বড় ভাই প্রেমল রোজারিও ওই দিন অভিযোগ করেন। ওয়াল্টার বড়াইগ্রামের জোনাইল ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ও জোনাইল সেন্ট লুইস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সোমবার প্রেমল রোজারিও বলেছিলেন, তার ভাই ওয়াল্টার বনপাড়া শহরের একটি প্রেসে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ সঙ্কলন প্রকাশের কাজ শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জোনাইল ধর্মপল্লীর উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা হন। ‘পরে রাত ৮টার দিকেও তিনি ধর্মপল্লীতে পৌঁছাননি। এরপর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানা, জেলা গোয়েন্দা ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়।’ তাদের বাড়িটি আলোচিত জঙ্গী হামলায় নিহত সুনীল গোমেজের বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে। সম্প্রতি সুনীল হত্যা মামলায় ১২ জঙ্গীর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। সুনীল গোমেজকে গত বছর ৫ জুন খ্রীস্টানপাড়ার নিজ মুদি দোকানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডে পর জঙ্গীগোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করে বার্তা দেয়। ওই দিন রাতেই নিহতের মেয়ে স্বপ্না গোমেজ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন।
×