ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দরে শ্রমিকদের দাবির প্রতি একাত্ম ॥ মেয়র নাছির

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

বন্দরে শ্রমিকদের দাবির প্রতি একাত্ম ॥  মেয়র নাছির

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থায় শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন ও পেশাগত সুযোগ-সুবিধা আদায়ে পদক্ষেপ নেব। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের (সিবিএ) বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন চসিক মেয়র। বন্দর থানার নিমতলা চত্বরে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মীর নওশাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফর আলী। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, শ্রমিকদের জীবনের মান উন্নয়ন এবং পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দাবি পূরণের যে সংগ্রাম দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে তা পূরণ হয়নি। অথচ শ্রমিকদের ঘামঝরানো পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা ও দক্ষতার ওপর ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বের কন্টেনার পোর্টগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান এখন ৭১তম। এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে শ্রমিকদের অবদান। তিনি বলেন, বন্দরের ল্যাসিং, আনল্যাসিং ডক শ্রমিকসহ সব শ্রমিকের পক্ষ থেকে যে ১৪ দফা দাবি আদায়ের জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে তার প্রতি আমি একাত্ম। বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মালিক পক্ষকে সমন্বিত আন্তরিকভাবে এ দায়িত্ব নিতে হবে। শ্রমিকদের প্রতি ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আল্টিমেটামের সময়সীমার মধ্যেই আমি ব্যক্তিগতভাবে বন্দর চেয়ারম্যান এবং মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিবিএর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হাসান, মোঃ নুরুল আবছার, নুরুল আমিন ভূঁইয়া, দুলাল মিয়া, আইয়ুব দোভাষ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাস, আবু বকর চৌধুরী বাপ্পী, আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোঃ জানে আলম প্রমুখ। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্য আন্দোলন সংগ্রাম করছে। যে ১৪ দফা দাবি শ্রমিকরা তুলে ধরেছে এর মধ্যে রয়েছে উইন্সম্যানদের বন্দরের শ্রম শাখায় অন্তর্ভুক্তি, কর্মক্ষেত্রে আঘাত পাওয়া শ্রমিক কর্মচারীদের চিকিৎসা সুবিধা এবং চিকিৎসাকালীন দৈনিক জীবিকা ভাতা প্রদান, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স বাস্তবায়ন, জেনারেল কার্গো বার্থের শ্রমিকদের জন্য টনেজ ভিত্তিতে মজুরি নির্ধারণ, দুই সেট করে দৃশ্য, বর্ষা ও শীতকালীন পোশাক প্রদান ইত্যাদি।
×