ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তৃতীয় প্রান্তিকে ৭৩.৩৪ শতাংশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২ নভেম্বর ২০১৭

তৃতীয় প্রান্তিকে ৭৩.৩৪ শতাংশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরের ৯ মাসে বা ৩ প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’১৭) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৭৩.৩৪ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে। আর ২৩.৩৩ শতাংশ ব্যাংকের ইপিএস কমেছে ও ৩.৩৩ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ৩০টি ব্যাংকের ৩য় প্রান্তিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশ হয়েছে। এ সময় আগের বছরের তুলনায় ২২টি বা ৭৩.৩৩ শতাংশ ব্যাংকের ২০১৭ সালের ৯ মাসে ইপিএস বেড়েছে। এছাড়া ৭টি বা ২৩.৩৩ শতাংশ ব্যাংকের ইপিএস কমেছে ও ১টি বা ৩.৩৩ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ইপিএস বেড়েছে প্রাইম ব্যাংকের। ব্যাংকটির ৫২২ শতাংশ ইপিএস বেড়েছে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২২ শতাংশ বেড়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের। ১০৬ শতাংশ বেড়ে ৩য় স্থানে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এদিকে সবচেয়ে বেশি ইপিএস হয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। আগের বছরের থেকে ৩৪ শতাংশ বেড়ে ইপিএস হয়েছে ১০.২৬ টাকা। এরপরে ব্র্যাক ব্যাংকের ৪৬ শতাংশ বেড়ে ইপিএস হয়েছে ৪.৪২ টাকা, ১৬ শতাংশ বেড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকের ৩.৩৪ টাকা, ১০ শতাংশ বেড়ে ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩.১৬ টাকা ও ১১ শতাংশ বেড়ে দি সিটি ব্যাংকের ৩.০৯ টাকা ইপিএস হয়েছে। ৩ প্রান্তিকে বা ৯ মাসে এই ৫টি ব্যাংকের ইপিএস ৩ টাকার বেশি হয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ইপিএস হয়েছে এবি ব্যাংকের। চলতি বছরের ৯ মাসে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ০.৭১ টাকা। এরপরে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ০.৭৭ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ০.৮৮ টাকা ও রূপালী ব্যাংকের ০.৯০ টাকা ইপিএস হয়েছে। ৯ মাসে শুধু এই ব্যাংকগুলোর ইপিএস ১ টাকার নিচে হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলো ২০১৬ সালের ব্যবসায় ভাল লভ্যাংশ দিয়েছে। আর চলতি বছরের যে ব্যবসায় তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ব্যাংকের ইপিএস বৃদ্ধি শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর। যদিও এ খাতটির প্রতি বিনিয়াগকারীদের দীর্ঘদিন অনাগ্রহ ছিল। তবে কয়েক মাস ধরে শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি বছরের ৯ মাসে সবচেয়ে বেশি হারে এবি ব্যাংকের ইপিএস কমেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ৬১ শতাংশ। এরপরে ৫০ শতাংশ কমে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। আর ২৬ শতাংশ কমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। ইপিএসের ন্যায় অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার প্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ধনাত্মক (পজিটিভ)। ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ১৬টির বা ৫৩ শতাংশ ব্যাংকের এ নগদ প্রবাহ ধনাত্মক হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি ভাল বা ধনাত্মক নগদ প্রবাহ হয়েছে রূপালী ব্যাংকের। ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে ৫৭.১৯ টাকা। অপরদিকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি ঋণাত্মক ২২.৪৯ টাকা নগদ প্রবাহ হয়েছে। লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের চলতি বছরের ৯ মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান আরও বেড়েছে। আগের বছরের ০.৩০ টাকা শেয়ার প্রতি লোকসান এ বছর ৪০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ০.৪২ টাকা।
×