ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে সব সড়ক এখন মরণফাঁদ ॥ চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

শরীয়তপুরে সব সড়ক এখন মরণফাঁদ ॥ চরম ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ২৬ অক্টোবর ॥ জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কসহ এলজিইডি’র অধীনে থাকা ৬ উপজেলার প্রায় ২০টি প্রধান সড়কই এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনেও মেরামত না করা, রাস্তার শত্রু হিসেবে পরিচিত মাহিন্দ্রসহ যত্রতত্র অবৈধ যানবাহন চলাচল, সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, বিভিন্ন স্থানে রাস্তা কেটে অবৈধ ড্রেজিং মেশিনের পাইপ বসানো, রাস্তায় খড় ছাড়ানোসহ বিভিন্ন কারণেই সড়কগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে হরহামেশা ঘটছে দুর্ঘটনা, ঘটছে মানুষের প্রাণহানী। শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর উপজেলার আংগারিয়া থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলার বুড়িরহাট থেকে ভেদরগঞ্জ, ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ-সখিপুর, সখিপুর-গোসাইরহাট, ভেদরগঞ্জ-ঘড়িসার, ঘড়িসার-সুরেশ্বর, প-িতসার-গোলারবাজার, ভোজেশ্বর-পঞ্চপল্লী, ঘড়িসার-নড়িয়া, শরীয়তপুর-ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া-জাজিরা, শরীয়তপুর-গঙ্গানগর, ডোমসার-শৌলপাড়া, নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কসহ জেলার ৬টি উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক মিলে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হাঁটু সমান গর্তের কারণে যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে পড়ছে সড়ক। সড়কগুলোর কোথাও কালো পিচের কোন চিহ্ন নেই। পিচঢালা উঠে লাল ইটের কণা বেরিয়ে পড়েছে। রোদ উঠলেই ছড়াচ্ছে অসহনীয় ধুলাবালি। আঞ্চলিক মহাসড়কসহ উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ১০ ফুট চওড়া রাস্তায়ও মাহিন্দ্র চলছে দেদারছে। ফলে কোটি কোটি টাকার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঝে মাঝে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু লোকজন রাস্তায় ইট, বালু, সুরকি ফেলে সড়ক মেরামতের চেষ্টা করলেও তা সুফল বয়ে আনছে না জেলাবাসীর জন্য।
×